স্পোর্টস ডেস্ক ॥ প্রাক-মওসুমে এশিয়ার সফরের শেষ ম্যাচে এক ঝাঁক তরুণকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে বাজিমাত করে দিলেন চেলসির কোচ হোসে মরিনহো। চেলসির এই তরুণেরা মরিনহোকে গোল উৎসবের উপল এনে দিয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন মাঠে নামেননি ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও ফার্নান্দো তোরেস। ছিলেন না অ্যাশলে কোল ও অস্কারের মতো তারকারা। তারপরও হোসে মরিনহোর প্রত্যাবর্তনে চেলসি দিনকে দিন যে আরও শক্তিশালী হচ্ছে তা বুঝা যাচ্ছে বেশ। প্রাক-মওসুমে শতভাগ সফলতা নিয়ে এশিয়া সফর শেষ করল তারা। থাইল্যান্ড সফরে শুরু হয়েছিল তাদের ভ্রমণ। আগের দুই ম্যাচে মরিনহোর চেলসি জিতেছিল ১-০ ও ৪-১ গোলে। আর জয়ের ব্যাবধান আরও বাড়িয়ে নিল তারা সফরের শেষ খেলায়। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়া অল স্টার্সের বিপে ৮-১ গোলের জয় দিয়ে সফর শেষ করেছে ব্লুরা।
ফুরফুরে মেজাজেই এখন তারা ইংল্যান্ড ফিরেছেন। কতটা নির্ভার হয়ে তারা কাবের মাঠে ফিরছেন তা বোঝা যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক ছবিতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিমানের মধ্যে চেলসির সব খেলোয়াড়েরা খুমাচ্ছেন অঘোরে।
ইন্দোনেশিয়া অল-স্টার্সের বিরুদ্ধে যে দাপটের সঙ্গে তারা জিতেছে তাতে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোই তাদের সাজে।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রামিরেস ও তরুণ স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। তরুণ লুকাকুকে নিয়ে মরিনহোর আশার মন্তব্য যে অত্যুক্তি নয় তা দেখিয়েছেন মাঠের পারফর্ম দিয়ে। এ নিয়ে সফরের তিন ম্যাচেই গোল পেলেন লুকাকু। তিন ম্যাচে ১৩৫ মিনিট মাঠে থেকে তিনি করেছেন ৪ গোল। তার দারুণ পারফর্মেন্সে ম্যানইউ থেকে ওয়েইন রুনিকে কেনার কথা নাকি ভুলেই গেছেন মরিনহো।
গোল উৎসবের শুরুটি অবশ্য করে তাদের পরীতি বেলজিয়ান তারকা এডেন হ্যাজার্ড। পেনাল্টি থেকে ২১ মিনিটের মাথায় উদ্বোধনী গোলটি করেন তিনি। রামিরেস ২৯ মিনিটে আর দেম্বা বা তৃতীয় গোলটি করেন ৩১ মিনিটে। আর অধিনায়ক জন টেরি হেড থেকে দর্শনীয় এক গোল করেন প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে। দ্বিতীয়ার্ধে ৪-০-তে এগিয়ে থেকে দেম্বা বা’র জায়াগায় মাঠে নামেন লুকাকু। ৫২ ও ৬৬ মিনেটে খেলা শেষ গোলটি করেন তিনি। আর রামিরেস ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করেন ৫৬ মিনিটের সময়। ইন্দোনেশিয়া অল-স্টার্সের হয়ে সান্ত্বনার গোলটি আসে ৬৯ মিনিটে।
ম্যাচ শেষে মরিনহো বললেন, একটি অনভিজ্ঞ দলের বিপে আমরা ইউরোপের সেরা কয়েকজন খেলোয়াড় নামিয়েছি। তাই ফলাফল খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কিন্তু আমার খেলোয়াড়দের মনোভাবে আমি অনেক খুশি। তারা সবসময় খেলার চেষ্টা করেছে, উন্নতি করতে চেয়েছে। সব সময়ই গোলের জন্য মরিয়া থেকেছে। দর্শকদেরও খুশির চেষ্টা করেছে তারা।