বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

আর মাত্র ২ দিন পরই এশিয়ার ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য শুরু হচ্ছে জমজমাট এশিয়া কাপ। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাচ্ছে ১৪তম এশিয়া কাপের আসর। কয়েক আসর পর আবারও ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরেছে এশিয়া কাপ। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিগত অন্যান্য বছরের চেয়ে দর্শক প্রিয়তায় এগিয়ে থাকবে এবারের এশিয়া কাপ।

বাছাই পর্ব থেকে আসা হংকংকে সঙ্গে নিয়ে এশিয়া টেস্ট খেলুড়ে ৫টি দল মাঠে নামবে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য। শেষ মুহূর্তে নিজেদের তৈরি করার পাশাপাশি দলগুলো ঠিক করে নিচ্ছে নিজেদের কৌশলও। গ্রুপ ‘এ’ আছে চিরপ্রতিদ্বন্দি ভারত ও পাকিস্তান। তাদের সঙ্গে আছে হংকং। ‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান।

গেল তিন এশিয়া কাপের দুইবারই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের জন্য শিরোপা জয়ের বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই ধারণা অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের। কিন্তু এশিয়া কাপের বিগত ১৩ আসরে বাংলাদেশের মনে করার মতো পারফরম্যান্স হাতে গোনা কয়েকটি পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে সেরা পাচটি পারফরম্যান্স আলোচনা করা হলো-

এনামুল হক বিজয়। ছবি: সংগৃগীত

জুনায়েদ সিদ্দিকি (৯৭) প্রতিপক্ষ পাকিস্তানঃ

অনেকেই হয়তো জুনায়েদ সিদ্দিকির কথা ভুকেই গেছে। ৮০ টি ওয়ানডে খেললেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেননি এই ক্রিকেটার। তবে ইতিহাসের পাতায় তার এশিয়া কাপে করা ৯৭ রান উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এশিয়া কাপের ইতিহাসে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৯০এর বেশি রান করেন জুনায়েদ।

২০১০ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ৯৭ রান। ওয়ানডে গরম্যাটের সে ম্যাচে ৩৮৫ রানের বড় লক্ষ দেওয়া হয় বাংলাদেশের সামনে। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রান সংগ্রহ করলেও ১৩৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে। তবে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে জুনায়েদের ৯৭ রান অনেকটাই ভালো পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

এনামুল হক বিজয় (১০০) প্রতিপক্ষ পাকিস্তানঃ

বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সম্ভাবনা দেখালেও বেশি দিন তা ধরে রাখতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এনামুল হক। অভিষেকের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি বেশি দিন। তবে তার এশিয়া কাপের সেঞ্চুরিটি এখনও বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের মনে দোলা দেয়। এনামুলই বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ এশিয়া কাপের সেঞ্চুরিয়ান।

২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান এনামুল। সে ম্যাচে বাংলাদেশ ৩২৬ রান করে বাংলাদেশ। কিন্তু সেবার বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দেন শহীদ আফ্রিদি।

মোহাম্মদ আশরাফুল (১০৯) প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতঃ

মোহাম্মদ আশরাফুল এমন একটি নাম, যাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট কখনই এড়িয়ে যেতে পারবে না। তার একাধিক সব অসাধারণ কীর্তিতে আছে এশিয়া কাপের সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১০৯ রান হাঁকান এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

সে আসরের প্রথম ম্যাচে ৩০০ রানের লক্ষ্য দেয়া হয় আরব আমিরাতের সামনে, যেখানে ১০৯ রানই করেন আশরাফুল। ৯৬ রানে ম্যাচও জেতে বাংলাদেশ।

অলক কাপালি (১১৫) প্রতিপক্ষ ভারতঃ

ভারতের বিপক্ষে মাত্র দুজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি আছে। তাদের মধ্যে প্রথম নামটিই আসে অলক কাপালির। ২০০৮ সালে এশিয়া কাপে তাক লাগিয়ে দেওয়া এই ক্রিকেটারও বেশি দিন নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলে। ম্যাচে বাংলাদেশ করে ২৮৩ রান। জয়ের স্বপ্ন দেখলেও সুরেশ রায়নার ১১৫ রান ও গৌতম গম্ভীরের ৯০ রানে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হার মেনে নিতে হয়। তবে কাপালির সেই ১১৫ রান এখনও এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা ইনিংসের একটি।

মুশফিকুর রহিম (১১৭) প্রতিপক্ষ ভারতঃ

ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহমান। সাবেক এই অধিনায়ক ২০১৪ সালের এশিয়া কাপের আসরে ১১৭ রান করেন। যা এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ।

ভারতের সামনে ২৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ১৩৬ রানের ইনিংস মুশফিকের ইনিংসকে অনুজ্জ্বল করে দেয়। ভারত ৬ উইকেটে জিতে যায় ম্যাচ।