শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > এলিয়েন দআসছে প্রমাণ করেই ছাড়বে নাসা!

এলিয়েন দআসছে প্রমাণ করেই ছাড়বে নাসা!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
খবর বেরিয়েছে খুব শিগগির এলিয়েনদের খুঁজে পাওয়া যাবে। এলিয়েন মানে ধরে নেয়া হয় এরা ভিন গ্রহের বাসিন্দা। এই খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নাকি এখন হাতের মুঠোয়। অনেকটা দ্বারপ্রান্তে। বড় জোর ১০ বছর কিংবা এক যুগের হিসাব।নাসার প্রধান বিজ্ঞানী অ্যালেন স্টেফান এমনটিই আভাস দিয়েছেন।তিনি জোর দিয়ে বলেছেন নাসা তা প্রমাণ করেই ছাড়বে। এবং প্রমাণ করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তারা!

নিঃসন্দেহে এটা একটা দুর্দান্ত খবর। যে খবরে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রয়েছে কল্পকাহিনীকে বাস্তবে রূপ দেয়ার দৃঢ় শপথ। এক সময় এটিকে বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনী বলেই মনে করা হতো। এই নিয়ে গল্প-উপন্যাস রচিত হয়েছে। নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র।চলচ্চিত্রের এই কল্পকাহিনী যদি বাস্তবে দেখতে পাওয়া যায় তবে এটা হবে মহাবিশ্বের আর এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। উল্টে-পাল্টে যাবে পুরনো অনেক হিসাব।
হলিউডে নির্মিত এলিয়েন বিষয়ক মুভিগুলোর দুর্দান্ত অ্যাকশন কল্পনাকেও হার মানায়। সেখানে দেখা যায় এরাও মানুষের উপর গবেষণা চালায়। পৃথিবী কে ধ্বংস করতে চায়। ধ্বংস করতে চায় মানব সভ্যতাকে। আক্রমণকারী হিসেবে এরাও ব্যবহার করে থাকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি।
বিষয়টি নতুন নয়। অনেক পুরনো হলেও এই নিয়ে সংশয় ছিল। ছিল নানা বিতর্ক। মহাবিশ্বে মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণ-সত্তার অস্তিত্ব থাকবে এমনটি কল্পনাতেই ছিল। আর সেই কল্পনাকে হার মানিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছে সৌর-দুনিয়া এবং মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে রয়েছে প্রাণ-সত্বার বাসযোগ্য পরিবেশ। সৌরজগতে শুধু আমরাই নই, আমাদের বাইরে অন্য কেউ রয়েছে।যারা হয়তো আমাদের চেয়েও বুদ্ধিসম্পন্ন এবং অতিমাত্রায় গতিশীল।
এলিয়েন। এক অজানা রহস্যময়ী প্রাণী। বলা হয় ভিনগ্রহের বাসিন্দা। ধরে নেয়া হয় এরাও মানুষের মতো। বা তাঁর চেয়েও বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন।কোন গ্রহে তাঁদের বসবাস? এই নিয়ে রহস্যের কোনো শেষ নেই। চলছে বিস্তর গবেষণা। খুঁজে বের করার চলছে প্রানান্তর চেষ্টা। এমনটাই আভাস দিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি এঁদের কোথায় পাওয়া যাবে, কিভাবে খুঁজে বের করা যাবে এর সব প্রযুক্তিই রয়েছে এখন নাসার হাতে।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁরা এক জটিল গাণিতিক নকশার রেডিও সংকেত ধরতে পেরেছেন-যা এই ভূপৃষ্ঠের মানব সৃষ্ট কোনো রেডিও সংকেত নয়। এই নিয়ে আবার বিভ্রান্তিও রয়েছে।আর তাই রহস্যপূর্ণ হয়ে উঠছে বিষয়টি।রহস্য যতই দুর্বোধ্য হোক গবেষকরা বলছে তাঁরা এর কিনারা ঘেঁষে হাটছে এখন।
বষরবহরহস্য এবং অলৌকিকতা নির্ভর এই ধারণা এক সময় ভূতের গল্পের মতোই মনে হতো। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূতের রহস্য নিয়ে রয়েছে এখনও প্রচন্ড আগ্রহ। আর ভূতের অস্তিত্বের কথা বিজ্ঞানীরা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু এলিয়েনদের প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা আশা ছাড়েননি। আর তাইতো তাঁরা জোর দিয়ে বলছেন-আমরা সঠিক পথেই হাঁটছি।
ইউএফও। যার অর্থ হলো আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট। যেটিকে ধরা হয় ভিনগ্রহ থেকে আসা এলিয়েন স্পেসক্র্যাফটের অস্তিত্ব হিসেবে। এদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বিতর্ক আছে। এই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও গবেষণা। নাসার প্রধান বিজ্ঞানী অ্যালেন স্টেফান এর আভাস যদি সত্যি হয় তবে কী শিগগির দেখা মিলবে এলিয়েনদের?
কে জানে? এমনটি তো হতেই পারে, মহাকাশের বিশাল শূন্যতার মাঝে বিরাজ করছে মানব সভ্যতার চেয়েও জ্ঞানভিত্তিক বিশাল এলিয়েন সভ্যতা। হয়তো তাঁদের কোলাহলে মুখরিত আছে বিশাল অজানা মহাশূন্য। আর তাঁদের সাথেই শেষ যুদ্ধে লিপ্ত হবে মানব সভ্যতা। ধ্বংস হবে এই সৌরজগত সহ অজানা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি।
এমনটিও হতে পারে তখন হয়তো মানুষে-মানুষে ভুলে যাবে সব বিবাদ।সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ এবং আঞ্চলিকতা সবই হবে তুচ্ছ।জেগে উঠবে নতুন বৈশ্বিক জাতীয়তাবাদ। থেমে যাবে মনুষ্য-সৃষ্ট এই পৃথিবীর সব যুদ্ধ। আবার শুরু হবে নতুন এক যুদ্ধ। যে যুদ্ধের কাহিনী লেখা হবে মহাবিশ্বে নতুন করে। সেই যুদ্ধে মানুষ আর মানুষের প্রতিপক্ষ থাকবে না। প্রতিপক্ষ হবে ভিনগ্রহের এলিয়েন !! যাদেরকে খুঁজছে নাসা।