শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > এভাবেও ভর্তি হওয়া যায় জাবিতে!

এভাবেও ভর্তি হওয়া যায় জাবিতে!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে একটি সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমান তালিকায় থাকা অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা বলে একাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। এই জালিয়াতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

এই জালিয়াতির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের কর্মচারী মো. শহীদুল ইসলামসহ কর্মচারীদের একটা অংশ জড়িত রয়েছে যার প্রমাণ বাংলামেইলের হাতে এসেছে।

একটি ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়, রসায়ন বিভাগের কর্মচারী মো. শহীদুল ইসলাম অপেক্ষমান তালিকায় থাকা এক শিক্ষার্থীকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ভর্তি করার কথা বলে।

এর আগে সে দর্শনসহ একাধিক বিভাগে জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছেন বলে স্বীকার করেন। আর এই জালিয়াতির সঙ্গে একাধিক শিক্ষক জড়িত রয়েছেন বলেও ওই কর্মচারী উল্লেখ করেছেন।

এই ভিডিওটি এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে টাকার চুক্তি করার সময় ওই শিক্ষার্থী কৌশলে মোবাইলে ধারণ করে। (ভিডিওটি দেখুন)

এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩-১৪ইং শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একাধিক শিক্ষার্থী প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়ে, যার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে ।

এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির দায়ে ফোরকান আহমেদ নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পরিসংখ্যান ভবনে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে বর্তমান ছবির মিল না থাকায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিক্ষকরা। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন।

আটককৃত ফোরকানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অসাধু চক্রের টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়েছিল বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে আমি এখানে একজনের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছি এবং আমার সঙ্গে একটি মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তি হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা তিনি স্বীকার করেননি।’

ভর্তি পরীক্ষার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আলী বাংলামেইলকে বলেন, ‘যদি ভর্তিতে কোন অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে এই ঘটনার সঙ্গে যারা থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই জালিয়াতে রোধে আমাদের একটি কমিটিও কাজ করছে বলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন। বাংলামেইল