বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ঢাকা সফরের পর এবার নয়া দিল্লি যাচ্ছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রতিনিধিদল।
বাংলাদেশের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার রাতে তিনি বলেন, ‘সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যাচ্ছে। তারা আগামীকালই রওনা হতে পারেন।’ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি প্রতিমন্ত্রী।
বর্ধমান বিস্ফোরণে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য জানার পর প্রতিবেশী দুই দেশ তথ্য বিনিময়সহ সন্ত্রাস দমনে একযোগে কাজ করতে একমত হয়। এর অংশ হিসেবে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) একটি প্রতিনিধিদলের সফরের এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও তথ্য সংগ্রহে ভারতে যাচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, এই প্রতিনিধিদলে, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, এনএসআই’র পরিচালক কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) মেজর আতিক, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি আজিজুর রহমান, সিআইডির এসএস আশরাফুল ইসলাম এবং পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তা মাহফুজ আহমেদ রয়েছেন। তারা নিয়ে তিন দিনের ভারত সফরে বাংলাদেশি জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা বিষয়ে এনআইএসহ ভারতের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবেন।
গত ১৯ নভেম্বর ঢাকায় এনআইএ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, বাংলাদেশের গোয়েন্দাদেরও সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতীয় প্রতিনিধিদল।
সে সময় দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের ভূখণ্ডে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে ঐক্যমত হয়।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণে জড়িতদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবির সদস্য। এদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে ভারত। ঢাকা সফরকালে এ বিষয়টি তুলে ধরে ১১ জনের একটি তালিকা দেয় ভারতীয় গোয়েন্দারা। এরা বাংলাদেশে পালিয়ে আছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ।
অন্যদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে ১০ জঙ্গিসহ ৫১ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয় এনআইএকে, যারা ভারতে পালিয়ে আছেন বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সন্দেহ।
ওই তালিকায় থাকা জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছেন জেএমবির বর্তমান আমির সোহেল মাহফুজ, জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান, ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পলাতক জেএমবি সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি, আনোয়ারুল ইসলাম, সাখাওয়াত ও আবু সাঈদ শেখ হোসাইন।
এনআইএ’র দাবি, বর্ধমানে তদন্তে গিয়ে তারা বাংলাদেশে জেএমবির হামলার পরিকল্পনার একটি তথ্য জানতে পেরেছেন। এ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম
