শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > এবার চাঁদাবাজির দায়ে কর্মকর্তাসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

এবার চাঁদাবাজির দায়ে কর্মকর্তাসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

শেয়ার করুন

চাঁদাবাজির দায়ে শরীয়তপুর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআইসহ ৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মোমেন তাদের বরখাস্ত করেন।বরখাস্তকৃতরা হলেন- শরীয়তপুর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই গোলাম মোস্তফা, এটিএসআই আব্দুল কুদ্দুস

ও কনস্টেবল সুব্রত।সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের মনোহর বাজার মোড় থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত অন্তত ৫টি পয়েন্টে বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্যরা চাঁদা আদায় করতেন।এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর

বিষয়টি পুলিশ সুপার আমলে নিয়ে তাদের বরখাস্ত করেন। এরপর পুলিশ সুপার ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।পুশিল সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর

তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন=খাবারের স্বাদ বিষিয়ে দিচ্ছে ভেজাল ঘি। হাটহাজারীতে ভেজাল ‘ঘি’ এর কারখানা এখন অলিগলিতে। নামিদামি ব্র্যান্ডের নামে গোপন কারখানার ঘি চলছে বাবুর্চিকে কমিশন দিয়ে। দেদারসে চলছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।অভিযোগ রয়েছে, কারখানা মালিকদের ৫০ থেকে ২০০ টাকার পর্যন্ত টোকেনের ভিত্তিতে বাবুর্চিরাই মূলত এসব ঘি ক্রেতাকে কিনতে বাধ্য করে।দেশের সবচেয়ে বেশি ঘি ভেজাল হচ্ছে হাটহাজারী উপজেলায়। ঘি সুস্বাদু খাবারের অনন্য উপাদান হওয়ায় ঘি’র ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। হাটহাজারীতে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় ডজন ভেজাল ঘি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।এদিকে এই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন প্রতিনিয়ত ভেজাল ঘি ও খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারক কারখানাগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এমনকি এলাকার মানুষজনকেও তিনি কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তথ্য আদায়ে উদ্বুদ্ধ করছেন।বিগত কয়েক মাসে তিনি দেড় ডজনেরও বেশি ভেজাল ঘি’র কারখানায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা, সতর্ক ও কারখানা সিলগালা করে দিয়েছেন। এই উপজেলায় এত বেশি ভেজাল ঘি’র কারখানা রয়েছে যা প্রতিনিয়ত উপজেলা অফিসে তথ্য আসছে।শুধু তাই নয়, লাল সার, ডালডা, পামওয়েল, ফ্লেভারসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রংসহ নানা উপকরণ দিয়ে এসব ভেজাল ঘি তৈরি করার ঘটনাও ঘটছে।এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পরিচালিত সর্বশেষ হাটহাজারীর মধ্য বুড়িশ্চর এলাকায় একটি ঘি’র কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় হাজার লিটার ভেজাল ঘি জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দকৃত ঘি’র বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, মধ্য বুড়িশ্চর এলাকায় আব্দুল আওয়ালের ঘি কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেড় হাজার লিটার ভেজাল ঘি জব্দ ও ধ্বংস করেছি। আওয়ালের স্পেশাল ব্র্যান্ড হলো জব্বার ব্র্যান্ড। এছাড়াও প্রায় দুই লাখের মতো বাঘাবাড়ি স্পেশাল ঘিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টিকার পেয়েছি।তিনি আরও বলেন, ভেজাল ঘি’র কারখানাটিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টিকার তৈরি করা আছে। যখন যে ব্র্যান্ডের ঘি লাগবে ওই ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহ করতেন আওয়াল। এ অপরাধে আওয়ালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এ ছাড়া প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিংসহ বিভিন্ন ভেজাল ঘি’র কারখানায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে নজরদারি ও কঠোরতা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান ইউএনও।