আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন স্থানে এখনও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভ প্রতিহত করতে দেশটির তিন রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে অথবা সমাবেশ ও বিক্ষোভের অনুমতি দেয়া হয়নি।
সহিংসতা এড়াতে কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অপরদিকে কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশের সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আলিগড়সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছে সমাজবাদী পার্টিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
অপরদিকে, সহিংসতার আশঙ্কায় রাজধানী বেঙ্গালুরুসহ কর্নাটকের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতের সংসদের উভয়কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। পরে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা আইনে পরিণত হয়। তারপরেই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রথম আসামে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে।
এদিকে, বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আইনটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত এক সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হওয়া অর্ধশতাধিক আবেদন নিয়ে আজ শুনানির পর আগামী ২২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব অমুসলিম ‘ধর্মীয় নিপীড়নের’ শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।