বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হবে আর মাত্র ১৫ দিন পর। তবে হজ যাত্রীদের জন্য এবছরও দেখা দিয়েছে ভোগান্তির শঙ্কা। ২২৪টি এজেন্সি এখনও হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া শেষ করতে পারেনি। আর ভিসার জন্য হজ অফিসে পাসপোর্ট জমা দেয়নি ৫২৮ এজেন্সির কেউই। বিষয়টি সামনে রেখে দ্রুত পাসপোর্ট জমা দিতে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সময় মতো ভিসাসহ অন্যান্য কাজ শেষ করতে না পারায় গত বছর হজযাত্রায় সংকটে পড়ে বাংলাদেশ বিমান। বাতিল হয় ২৪টি ফ্লাইট। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এবছরও এখনও বাড়ি ভাড়ার কাজ শেষ করে ভিসা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি এজেন্সিগুলো। অথচ গতবারের চেয়ে ১০ দিন এগিয়ে এবার প্রথম ফ্লাইট যাবে ১৪ই জুলাই।
সরকারি ব্যবস্থাপনার ৭ হাজার যাত্রীর প্রস্তুতি শেষ হলেও, বেসরকারি পর্যায়ের বাড়ি ভাড়ার কাজ শেষ করেনি ২২৪টি এজেন্সি। হজ অফিসে ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দেয়নি ৫২৮ এজেন্সির কেউই। তারপরও গত বছরের মতো ভোগান্তি এবার হবে না বলে দাবি করছে হজ অফিস ও হাব।
হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, এই পর্যন্ত আশঙ্কা বা কোনো কিছু নিতিবাচাক অনুমান করার মতো কোনো বিষয় আমার চোখে পড়েনি। এবছর হজ যাত্রায় হাজীদেরকে ভালোভাবেই সৌদি আরব পাঠানো যাবে।
হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ব্যাংকের মাধ্যমে সঠিক সময়ে টাকাটি না পৌঁছালে সৌদি আরবে সঠিক সময়ে বাড়ি ভাড়া নেওয়া সম্ভব না। তবে গত বছরের চেয়ে এবারে প্রস্তুতি ভালো। অন্যান্য বছরের মতো ফ্লাইট নিয়ে যে বিলম্ব হয় এবছ তেমন হবে না।
এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনই যাবেন বাংলাদেশ বিমানে। হাতে ১৫ দিন সময় থাকলেও টিকিট বুকিং হয়েছে ৩৪ হাজার। ঝামেলা এড়াতে বুকিংয়ের সময়ই নেয়া হচ্ছে টিকিটের পুরো টাকা। তাই এজেন্সিগুলো সময় মতো কাজ শেষ করতে না পারলেও এবার আর বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট থাকছে না অতিরিক্ত স্লটও।
বিমান বাংলাদেশের (জনসংযোগ) মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেছেন, এবছর হাজীদের কাছ থেকে পূর্ণ টাকা নিয়ে নেব টিকেটের সঙ্গে। প্রতিটি টিকিট ইস্যু হবার পর কেউ যদি তারিখ পরিবর্তন করতে চান সে ক্ষেত্রে তাকে বাড়তি অর্থ দিতে হবে। তার সাথে কোনো কারনে যদি টিকিট বাতির করতে হয় সেখানে ২’শ টাকা দিতি হবে।
সে কারণেই ফ্লাইট শুরুর আগেই ভিসার কাজ শেষ করতে এজেন্সিগুলোকে এখনই যাত্রীদের তাগিদ দেওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছে হজ অফিস। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি