বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইকে ঘুষ প্রদান মামলায় সাড়ে ৩ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশি যুবক রিজভি আহমেদ সিজার মোটেও লজ্জিত নন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দুর্নীতির গোপন তথ্যাদি উৎঘাটনকারী রিজভী তার এ দণ্ডে নিজেকে একজন গর্বিত বাংলাদেশি মনে করছেন।
গত ৫ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নামী আইনজীবী প্রতিষ্ঠান মার্শাল আর ইসাকস-এর সহযোগিতায় এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভি আহমেদ সিজার ও তার মার্কিন আইনজীবী রস এল শিলার এমনই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভি বলেন, ‘দেশকে ভালবেসে দেশের মানুষের কাছে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও তার দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে এফবিআই ও আমাকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে দেশের মানুষ শুধু বিভ্রান্ত হয়েছেন তা নয়, বরং প্রকৃত ও সত্য ঘটনা জানার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছে।’
রিজভি জানান, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের কোনো ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন এবং কখনও জড়িত ছিলেন না। পাচার হওয়া অর্থের পরিমান ৩শ’ মিলিয়ন নাকি ৩ হাজার মিলিয়ন সময় হলে এর সঠিক তথ্য প্রকাশ করবেন বলেও জানান তিনি।
রিজভি জানান, সজীব ওয়াজেদ জয়ের গোপনীয় তথ্য উৎঘাটনে তিনি সঠিক পন্থা অবলম্বন না করলেও তার উৎঘাটিত তথ্যাবলী শতকরা ১০০ভাগ সঠিক এবং একদিন তা প্রমানিত হবেই।
টঝঅ-চওঈ-০১ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রতিবাদের মুখে রিজভির দুটি সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর প্রচেষ্টায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী প্রতিষ্ঠান মার্শাল আর ইসাকস-এর তত্ত্ববধানে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ সিজার প্রাণ খুলে কথা বলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে আনন্দিত মনে করেছেন।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী রস এল শিলার বলেন, ‘আমেরিকায় প্রত্যেক মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু রিজভির সেই স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রিজভি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। তিনি যা করেছেন তা নিজের প্রচেষ্টায় করেছেন। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের কোনো অভিযোগ আদালতে আসেনি কিংবা এ ধরনের কোনো ঘটনার সাথে রিজভি জড়িত নন বা ছিলেন না।’
রিজভির সাথে বিএনপি কিংবা অন্য কোনো দলেরও কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে রস এল শিলার বলেন, ‘রিজভির পিতা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে রিজভি বাংলাদেশের কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নন। দেশের মানুষের পক্ষে একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে স্বপ্রণোদিত হয়েই জয়ের একাউন্টের ফিরিস্তি উৎঘাটনে সচেষ্ট হয়েছিলেন তিনি। বিচারে তার ৪২ মাস বা সাড়ে ৩ বছরের সাজা হলেও এ ব্যাপারে তিনি মোটেও লজ্জিত নন, বরং দেশের সম্পদ রক্ষায় অবদান রাখতে পেরে তিনি গর্বিত মনে করছেন।’
তিনি বলেন, ‘রিজভী আহমেদকে জড়িয়ে জয় অপহরণের মতো মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’