শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > এক বছরেও কমিটি হয়নি আওয়ামী লীগে

এক বছরেও কমিটি হয়নি আওয়ামী লীগে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সম্মেলনের এক বছর পরও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হয়নি। নেতৃত্ব প্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে এ নিয়ে এখন চরম হতাশা। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন মাঠের নেতা-কর্মীরাও। স্থবির হয়ে পড়েছে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম।
নগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। এরপর শুরু হয় নগরীর ৪৯টি থানা, ১০৩টি ওয়ার্ড ও ১৭টি ইউনিয়নের সম্মেলন। তাও শেষ হয়নি। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কমলাপুর ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় এখনো সম্মেলন বাকি। এর আগে ২০০৩ সালের ১৮ জুন সম্মেলন হয় নগর আওয়ামী লীগের। দীর্ঘ ৯ বছর পর সম্মেলন হওয়ার পরও কমিটি ঘোষণা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
সূত্রমতে, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন ও শাহে আলম মুরাদ নগর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেবেন। শেখ হাসিনা কমিটি ঘোষণা করবেন। আর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির ঘোষণা দেবেন নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। কিন্তু এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও হাজী মো. সেলিমের অনুসারীদের মধ্যে নেতৃত্ব ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। এই চার নেতা এক হয়ে তালিকা চূড়ান্ত করতে না পারায়ই কমিটি ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের নিয়ে দল গোছানোর নির্দেশ দিয়েছেন নগর নেতাদের। বিশেষ করে বিগত ওয়ান-ইলেভেনে আন্দোলন-সংগ্রামে যাদের ভূমিকা রয়েছে তাদের কমিটিতে স্থান দিতে বলেছেন তিনি। কিন্তু কিছু এলাকায় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নেতৃত্ব থেকে দূরে রেখে কমিটি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগরীর অনেক নেতা-কর্মীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই অবস্থায় কমিটি ঘোষণা করলে বিরোধ আরও ফুঁসে উঠতে পারে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নগরীর প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কমিটি সম্পন্ন করার পরে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়েই নগর আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানো হবে। বিগত ওয়ান-ইলেভেনে যারা দলকে ধরে রেখেছেন তাদের এবার কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘দলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নগর কমিটিকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করা হবে। বিভিন্ন কারণে যেসব নেতা নেতৃত্ব থেকে দূরে রয়েছেন তাদেরও এবার কমিটিতে রাখা হবে।’সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন