স্পোর্টস ডেস্ক ॥
যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই এক ইনিংসে দশ উইকেটের সবকয়টি নিজের নামের পাশে লেখানো সহজ কাজ নয়। আর সেটি যদি হয় প্রথম শ্রেণীর মর্যাদাসম্পন্ন ম্যাচে তাহলে এর গুরুত্ব বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ। সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার মালিন্দা পুষ্পকুমারা।
দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে সারাসেন স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নেমে মাত্র ৩৭ রানে ১০ উইকেট শিকার করেছেন পুষ্পকুমারা। তার দলও জয়েছে ২৩৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।
রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছিল সারাসেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বল হাতে তুলে নেন পুষ্পকুমারা। টানা বোলিং করেন ১৮.৪ ওভার। তার এই স্পেলেই মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় সারাসেন।
নিজের দ্বিতীয় এবং ইনিংসের তৃতীয় ওভারে লিও ফ্রান্সিসকোকে সরাসরি বোল্ড করার মাধ্যমে উইকেটের খাতা খোলেন পুষ্পকুমারা। পরে ব্যক্তিগত ১৯তম এবং ইনিংসের ৩৭তম ওভারে মোহাম্মদ দিলশাদকে সাজঘরে পাঠিয়ে পূর্ণ ১০ উইকেট নেন তিনি। এ জন্য তার খরচ করতে হয় কেবল ৩৭ রান।
তার এই ৩৭ রানের বিনিময়ে ১০ উইকেট শিরকার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে ত্রয়োদশ সেরা বোলিং ফিগার। একই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সারাসেন স্পোর্টস ক্লাবের চামিকারা এড্রিসিংহে ৮৭ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ৯টি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট নেয়ার আগে প্রথম ইনিংসেও ৬ উইকেট শিকার করেছেন পুষ্পকুমারা। সবমিলিয়ে ম্যাচে ১১৬ রানে ১৬ উইকেট নেয়ার মাধ্যমে নিজের ১২৩তম প্রথম শ্রেণীর ম্যাচেই ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।
পুষ্পকুমারার আগে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেয়ার সবশেষ ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালে। পাকিস্তানের কায়েদে আজম ট্রফিতে মুলতানের হয়ে ইসলামাবাদের বিপক্ষে ১৪৩ রানে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন জুলফিকার।
তবে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেয়ার ঘটনা মাত্র দুইটি। ১৯৫৬ সালে প্রথমবারের মতো এ কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের অফস্পিনার জিম লেকার। তার ৪৩ বছর পরে একই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করেন ভারতীয় লেগস্পিনার অনিল কুম্বলে।