শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > একুশে বইমেলার স্টলে ভোগ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন!

একুশে বইমেলার স্টলে ভোগ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন!

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বইমেলা তো নয়, যেন বাণিজ্যমেলা। প্রকাশনী সংস্থার নামের বদলে চোখে পড়ছে বিভিন্ন ভোগ্য পণ্যের বাহারি বিজ্ঞাপন। গতকাল মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে গিয়ে দেখা যায়, বইয়ের মেলা রূপ নিয়েছে ক্ষুদে বাণিজ্যমেলায়। রঙ-বেরঙের বিজ্ঞাপনের আড়ালে হারিয়ে গেছে গ্রন্থ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার নীতিমালা ও নিয়মাবলীর ১৩ ধারার ‘১’ উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘অংশগ্রহণকারীকে যে স্টল বরাদ্দ করা হবে সেই স্টলের নাম পরিবর্তন বা স্টলের নামের সঙ্গে অন্য নাম যোগ করতে পারবেন না। এর অন্যথা হলে সাথে সাথে তার বরাদ্দ বাতিল করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, নীতিমালা অমান্য করে প্রায় ৫০টি প্রকাশনা সংস্থা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে স্টল সাজিয়েছেন।

প্রকাশকরা জানান, বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি প্রকাশনা সংস্থার স্টল সজ্জার খরচ দিতে চেয়েছিল। বিনিময়ে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেবেন তারা। কিন্তু সময়ের অভাব ও বিভিন্ন প্রকাশনী রাজি না হওয়ায় প্রায় অর্ধশত স্টলকে তারা সাজিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কারণ, এটি নীতিমালা-বহির্ভূত। শনিবার মেলা শুরুর আগে এসব বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হবে।’ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, ‘আমরা শুক্রবারের মধ্যে অপসারণ করে ফেলব। এটা অবশ্যই নীতিমালা অমান্য করা হয়েছে।’ বিজ্ঞাপন গ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থা ‘সূচীপত্রের’ স্বত্বাধিকারী সাঈদ বারী বলেন, ‘আমি জানতাম ছোট্ট করে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। কারণ, তারা আমাদের স্টল সাজিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এত বিশালভাবে হবে তা জানতাম না। আমি অবশ্যই আমার স্টল থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলব।’

বিজ্ঞাপন গ্রহীতা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ আগামী প্রকাশনী, ভাষাচিত্র, পারিজাত প্রকাশনী, কাকলী প্রকাশনী, নবযুগ, শোভা প্রকাশ, গতিধারা, সৃজনী, বাঙলায়ন, মনন প্রকাশ, গাজী প্রকাশনী, অনার্য, সূচীপত্র, সুলেখা, প্রীতম প্রকাশ, তৃপ্তি প্রকাশকুঠি, শিখা প্রকাশনী, কথামালা প্রকাশন, বিদ্যাপ্রকাশ, হাতেখড়ি, ন্যাশনাল পাবলিকেশন, স্বরবৃত্ত, সালন্দা, ধ্রুবপদ, সেবা প্রকাশনী, সমাচার ইত্যাদি। এসব প্রকাশনা সংস্থার স্টলসজ্জার দুই-তৃতীয়াংশই বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কোনমতে, স্টলের উপরিভাগে গ্রন্থ প্রকাশনা সংস্থার নাম দেয়া হয়েছে। আর বিজ্ঞাপন গ্রহণকারী স্টলগুলোর প্রতিটির সজ্জা একরকম হওয়ায় মেলার নান্দনিকতাও নষ্ট হচ্ছে। বেঙ্গলিনিউজটোয়োন্টিফোর.কম ডেস্ক