বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক একুশে পদক-২০১৯ পেয়েছেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নাগরিকদের ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে এ পদক তুলে দেন। রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়।
এবার একুশে পদক পেলেন যারা
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম।
শিল্পকলা-সংগীত
আজম খান (মরণোত্তর), সুবীর নন্দী ও খায়রুল আনাম শাকিল সংগীতে একুশে পদক পেলেন।
শিল্পকলা-অভিনয়
লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা ও লিয়াকত আলী লাকী অভিনয় ক্ষেত্রে একুশে পদকের পেয়েছেন।
শিল্পকলা-আলোকচিত্র
সাইদা খানম আলোকচিত্র ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পান।
শিল্পকলা-চারুকলা
চারুকলায় একুশে পদক পান জামাল উদ্দিন আহমেদ।
মুক্তিযুদ্ধ
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেলেন।
গবেষণা
ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড. মাহবুবুল হক গবেষণায় একুশে পদক পান।
শিক্ষা
ডক্টর প্রণব কুমার বড়ুয়া শিক্ষায় একুশে পদক পেয়েছেন।
ভাষা ও সাহিত্য
এ ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মঈনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস।
পদক প্রাপ্তদের হাতে একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও দুই লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে সরকার।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা ব্যক্তি, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।