আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
রোগীর দেহে বাসা বেঁধেছে এইচআইভি। তাই তাকে ছুঁয়েও দেখেনি হাসপাতাল কর্মীরা। বিনা চিকিৎসায় সেভাবেই পড়ে ছিলেন তিনি। কেউ তার খেয়ালও নেয়নি। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এভাবে পড়ে থেকে মারা গেছেন ওই রোগী। ভারতের ওড়িষ্যার সম্বলপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।
সম্বলপুরের বীর সুরেন্দ্র সাই ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের এমন দায়িত্বে অবহেলার ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে ছুঁলে বা এক থালায় খেলেও এই রোগ ছড়ায় না। এমন নানা সরকারি প্রচারণা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই।
তবে এইচআইভি নিয়ে সরকারি প্রচারণায় খুব একটা কাজ হচ্ছে না। চোখে সমস্যা দেখা দেয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এইচআইভি আক্রান্ত ওই রোগী। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেডেই পড়েছিলেন তিনি।
তাকে স্পর্শ করলে সমস্যা হতে পারে এমন ভয়ে কেউ তার ধারে কাছে আসেনি। ওই রোগীর মৃত্যু হলেও তার মরদেহ সরানো হয়নি। এই নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাকে বেড থেকে সরানোর দায়িত্ব কার ছিল? পুলিশ নাকি হাসপাতালের এই নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বাকবিতন্ডা। তবে প্রায় ৩ দিন এভাবে পড়ে থাকার পর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।