শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকে বাদ দিয়ে ইতিহাস রচিত হতে পারে না

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকে বাদ দিয়ে ইতিহাস রচিত হতে পারে না

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১১ দফা কর্মসূচি আজ বিস্মৃত প্রায়। অথচ এই গণঅভ্যুত্থানই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিত রচনা করেছিল। ঐক্যবদ্ধ করেছিল ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে। সকল বাঙালিকে। এই অভ্যুত্থানেই স্লোগান ওঠেছিল ‘শ্রমিক-কৃষক অস্ত্র ধর, পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর’। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’।

গণঅভ্যুত্থান দিবসে ‘শহীদ আসাদ ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এসব কথা বলেন।

মেনন বলেন, ১১ দফা কর্মসূচি কোনো সম্পূরক কর্মসূচি ছিল না। ছাত্র সমাজের উপলব্ধির ভিত্তিতে রচিত হয়েছিল ১১ দফা, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ৬ দফার দাবিসমূহ। অন্তর্ভুক্ত ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের এক ইউনিট বাতিলের দাবি। অন্তর্ভুক্ত ছিল ছাত্রদের দাবি, শ্রমিকের দাবি, কৃষকের দাবি, ব্যাংক-বীমা-মিল কারখানা জাতীয়করণের দাবি, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতার দাবি। আর এ কারণেই ছাত্রদের ঐ ১১ দফা সর্বস্তরের জনগণের দাবি হয়ে ওঠেছিল।

তিনি বলেন, ২৪ জানুয়ারি অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সংগঠিত হতে পেরেছিল। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ১১ দফা প্রণেতাদের অন্যতম ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুরুল হাসান, শ্রমিক নেতা কামরুল আহসান, ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তপন ও ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন।