বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
উপাচার্য ছাড়াই চলছে দেশের কমপক্ষে ১৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত এই পদটি (ভাইস চ্যান্সেলর -ভিসি) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মোট ৯৫টির মধ্যে ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের জন্য ৩ সদস্যের প্যানেলের প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যাগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কোনো ভিসি, প্রো-ভিসি বা কোষাধ্যক্ষ নেই- এমন আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলো হলো- ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (ইবুট), গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এক্সিম ব্যাংক এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ইউনিভার্সিটিতে
অন্যদিকে, ৪০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের কাছেও এসব শূন্যপদ পূরণের কোনো উপায় নেই। ইউজিসি সূত্র জানায়।
উপরন্তু, প্রো-ভিসি পোস্টের অবস্থা খুবই করুণ হয়ে পড়েছে, ৯৫টির মধ্যে ৫৬ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে প্রো-ভিসি নিয়োগের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ইউজিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে ভিসি, প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ পদের এই শূন্যতা পাওয়া গেছে।
এই তিনটি পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরও হন, তিনি প্রতিটি পোস্টের জন্য তিন সদস্যের প্যানেলের প্রস্তাব পান।
ইউজিসি সূত্র জানায়, তারা ভিসি ও প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে প্যানেলের প্রস্তাব পাঠাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জোর দিচ্ছে, কিন্তু তাদের কেউ কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর লঙ্ঘন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, “কিছু বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার জন্য ভিসি, প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না।
“আইন ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা করছে। তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য নিয়মিত বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। ”
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট