শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের সাফল্যের নেপথ্যে

উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের সাফল্যের নেপথ্যে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ যুদ্ধাপরাধী নেতা-নির্ভর জামায়াত এবার উপজেলা নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে অভাবনীয়। সঙ্গত কারণে এই দলেও বিরাজ করছে চাঙ্গাভাব। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতাদের ফাঁসির দন্ড, উচ্চ আদালত কর্তৃক নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা, বিএনপি জোট থেকে ছিটকে পড়ার আলোচনাসহ বিভিন্ন কারণে বিধ্বস্ত অবস্থায় আছে দলটি। এরই মধ্যে এই নির্বাচনে বিজয় অর্জন ছিল দলটির অস্তিত্ব বাঁচানোর চ্যালেঞ্জের মতো। সেই চ্যালেঞ্জকে সমাল দিতে সক্ষম হয়েছে দলটি। ৯৭টি উপজেলার মধ্যে জামায়াত সমর্থিত ১৩ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, এই বিজয়ে অত্যন্ত খুশি তারা। এই নির্বাচনে ভালো ফল করা সম্ভব না হলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ত বলেও মনে করেন অনেকে। এখন তারা আবারো ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে বলেও তাদের ধারণা।

জামায়াত মনে করছে, রাজনৈতিকভাবে চরম বৈরী পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপির সঙ্গে জোটগত অবস্থান, তৃণমূল পর্যায়ে বড় দুটি দলের নেতাদের অনৈক্য, সাধারণ মানুষের সরকারবিরোধী মনোভাব, জামায়াত-শিবিরের সাংগঠনিক ঐক্য ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতি করার সুফল মিলেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্রগুলো বলছে, মূলত সাংগঠনিক ঐক্যই জামায়াতকে বিজয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে সহায়তা করেছে। যেসব উপজেলায় দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত সেসব এলাকার নেতা-কর্মীরা মরণপণ হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। তারা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল না। তা ছাড়া অনেক জেলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা গোপনে সফর করে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে উৎসাহ জুগিয়েছেন। নেতারা বলছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় কেন্দ্রীয় নেতাদের, তৃণমূলের নয়। আর এর প্রভাব সারা দেশে পড়েনি।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে জামায়াত সারা দেশে মাত্র ২৮টি উপজেলায় প্রার্থী দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৩টিতে জয় এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার এক সদস্য জানান, জামায়াত জনগণের জন্য রাজনীতি করে। তাই জনগণ জামায়াতের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, সরকারি দলের ক্যাডাররা কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপি না করলে জামায়াত আরো কয়েকটি উপজেলায় জয় পেত। আগামী দিনে আরো অনেক উপজেলায় জামায়াত প্রার্থী দেবে বলে তিনি জানান। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম