বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
লক্ষ্মীপুর: জেলায় কর্মরত সব মৎস্য কর্মকর্তার ঈদুল আজহার ছুটি বাতিল ঘোষণা করে আগামী ১৫ দিন মৎস্য অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের গৃহিত প্রদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ আক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মহিব উল্লাহ বুধবার সকালে বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ লিখিত পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর জেলার ৫টি উপজেলার সব মৎস্য কর্মকর্তা ও তাদের অধিনস্থ অন্যান্য কর্মকর্তার পূজা ও ঈদুল আজহার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে সরকারের গৃহিত প্রদক্ষেপ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহিম হামিদ শাহিন জানান, তারা ছুটি বাতিল বিষয়ে একটি নির্দেশনা পেয়েছেন। বিষয়টি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার ভারপ্রাপ্ত আবুল কাসেম জানান, একটি ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে আগামীতে কয়েক লাখ বড় ইলিশ পাওয়া যাবে। এ সম্পদ রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদী অববাহিকায় ১০০ কি.মি. এলাকায় পর্যন্ত এ বছর ১৫ দিন নদীতে মাছ ধরা, আহরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আশ্বিনের পূর্ণিমার জোয়ার ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় হলে সাগরের লোনা পানি থেকে ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার মিঠা পানিতে প্রবেশ করে। প্রজননের পর ডিম থেকে উৎপাদিত লাখ লাখ পোনা প্রথমে জাটকা এবং পরে বড় ইলিশে পরিণত হয়।
তাই ইলিশ মাছের অবাধ প্রজনন ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে এ বছর ( ১০ আশ্বিন থেকে ২৪ আশ্বিন) পর্যন্ত ১৫ দিন সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থেকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছর ১১ দিন থাকলেও এ বছর তা বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহিব উল্যা জানান, নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ। এ সময় কেউ আইন ভঙ্গ করে নদীতে নামলে তাকে ১ মাস থেকে ৬ মাসের জেল এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ব্যাপারে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলামেইল২৪ডটকম