শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > উন্নয়ন কাজের কঠিন বর্জ্যই ভরাট করছে রাজধানীতে ড্রেন-খাল সাথে জলাধার

উন্নয়ন কাজের কঠিন বর্জ্যই ভরাট করছে রাজধানীতে ড্রেন-খাল সাথে জলাধার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নগরীর বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিনই চলে রাস্তা উন্নয়ন কাজ। আর এই উন্নয়ন কাজের দোহাই দিয়ে কঠিন বর্জ্যে ভরাট করা হচ্ছে রাজধানীর ড্রেন, খাল ও অন্যান্য জলাধার। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে রাস্তায় ভরাট হয়ে যায়।

নগরবিদরা বলছেন, রাস্তা খনন, ড্রেন ও ফুটপাত সংস্কারকালে মাটি, বালু ও ইট-পাথর সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় শুষ্ক মৌসুমে ধূলোবালি, বর্ষায় জলজট ও নানা ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। নগর কর্তৃপক্ষ বলছেন, জনদুর্ভোগ কমানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও তা মানছে না অনেক প্রতিষ্ঠানই।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ছোট ড্রেন। পাশেই নির্মাণকালীন বর্জ্য ফেলে রাখায় বৃষ্টির পানির সঙ্গে এর বেশিরভাগই চলে গেছে ড্রেনে। তাই ড্রেনের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। রাজধানীর মিরপুরে একাধারে চলছে মেট্রোরেল এবং সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজ। ড্রেন ও ফুটপাত সংস্কারের বর্জ্যগুলো প্রতিরাতে সরিয়ে নেয়ার নিয়ম থাকলেও পাশেই রেখে দেয়া হয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। আর এতে তৈরী হয় যানজট।

এ সম্পর্কে গাড়ি চালকরা বলেন, ‘রাস্তা ভাঙ্গা। রাস্তার পাশে ময়লা আর বৃষ্টিতে রাস্তা দেখা না যাওয়ার কারনে কোথায় গর্ত আছে বুঝার উপায় নেই। ড়াগির চাকা যদি গর্তে পরে তাহলে শুরু হয় যানজট।’

নগরবিদদের মন্তব্য, অস্থায়ী বর্জ্য সরানোয় উদ্যোগী নয় কর্তৃপক্ষ। পুনরায় ব্যবহার করতে হবে এমন উপাদান সংরক্ষণেও নেই আলাদা কোনো ব্যবস্থা। এসব উপাদানের মাধ্যমে নিষ্কাশনের পথ বন্ধে হওয়ায় রাস্তায় পানি জমে থাকে। সড়কের পুরো অংশে চলতে না পারায় ধীরগতি ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয় গাড়িগুলো।

এ সম্পর্কে স্থাপতি ও নগরবিদ সালমা এ. শফি বলেন.‘রাস্তরি উন্নয়ন কাজ করার সময় রাস্তার বর্জ এবং ভাঙ্গা অংশ কোথায় ফেলবে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারন রাস্তার কাজ করার সময় এমনিতেই দূর্ভোগ তৈরী হয় তার উপর যদি এর ভাঙ্গা অংশ পাশে পরে থাকে তাহলে তো দূর্ভোগ চরমে চলে আসে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য যে কোম্পানী ঠিকাদারি কাজ নিবে তারা যদি এই ভাঙ্গাংশ সরিয়ে না নেয় তাহলে তাদের চার্জ করার ব্যবস্থা করতে হবে কঠোর ভাবে।’

তবে সিটি করপোরেশনের দাবি, বর্জ্য সরানোয় গাফিলতি দূর করতে অর্থ ছাড়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। অন্য সংস্থাকে খোঁড়াখুঁড়ির অনুমোদন দেয়ার সময় শর্ত পালনে কঠোরতার কথাও জানায় সংস্থাটি।

বর্জ্য সরানোর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা গেলে ভরাট হওয়া ড্রেন ও খাল পরিস্কার করতে বাড়তি অর্থ ও জনবল কম লাগবে বলে দাবি নগরবিদদের। তা না হলে নতুন ড্রেন নির্মাণ করেও সুফল পাওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান তারা।
সূত্র : সময় টিভি