বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ১৯ মে দুপুরে সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব বলেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫-৬ জুন দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। বিভিন্ন শহরে ব্লকরেইড দেয়া হবে। ঢাকা প্রবেশ ও বাহির পথে চেকপোস্ট থাকবে। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদে বিশেষ রেলের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রার আগেই বিভিন্ন পথে রাস্তার উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ায় যানজটের দুর্ভোগ কম হবে। যানজট নিরসনে গার্মেন্ট কারাখানায় পর্যায়ক্রমে ছুটি থাকবে। যেহেতু দীর্ঘ ছুটি, আমরা বলেছি যাতে সবাইকে একসঙ্গে ছুটি দেয়া না হয়। পর্যায়ক্রমে ছুটি দিলে যানজট কমবে। আর শ্রমিকদের বেতন বোনাস যথাসময়ে দিতে হবে।’
পোশাক কারখানা মালিকরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। আমরা সব বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করি। আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী প্রস্তুত আছে। সেজন্যই আমরা অনেক কিছু থেকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। গোয়েন্দারাও সক্রিয় ও সজাগ রয়েছে। আমরা যেকোন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারব বলে আশা করি।’
‘বৌদ্ধ পূর্ণিমায় অনেক ধরনের কথা উঠেছিল। আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিল অনেকে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বিঘ্নে বৌদ্ধ পূর্ণিমা শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি ঈদুল ফিতরও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে’ বলেন আসাদুজ্জামান খান।
লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া হলে এবং লঞ্চ, রেল, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঈদে পেশাদার ড্রাইভার ছাড়া গাড়ি চালাতে পারবে না। সড়কে পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর থাকবে। যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তারা সড়কে গাড়ি চালাতে পারবে না। এই বিষয়ে কঠোর থাকব আমরা।’
সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পটোয়ারী, সুরক্ষা সেবা বিভাগে সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়াসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।