সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > ঈদে ঘরে ফেরা হলো না ১১ জনের

ঈদে ঘরে ফেরা হলো না ১১ জনের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥

নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন যাত্রী। সোমবার রাত ৯টার দিকে নরসিংদী ও ভৈরব সীমান্তবর্তী এলাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার এলাকার কাজিল হকের ছেলে সুজন (২৫), তার স্ত্রী সাবিনা বেগম (২০), একই এলাকার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৫৫), মৃত মুন্নাফ মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া (২৪), আসমত আলীর ছেলে মোবারক (১৮), কাশেম মিয়ার ছেলে শাহীন (১৮), আফতাব উদ্দিন (৫০); নেত্রকোনার চাপুনিয়া এলাকার মৃত মোরশেদ আলীর ছেলে রাকিবুল (৩০), একই এলাকার শফিক (২৬), সুমন (২২) এবং লেগুনার চালক নরসিংদীর শিবপুর থানার কাশেম মিয়ার ছেলে মাসুম (২৫)। নিহতরা সবাই নির্মাণ শ্রমিক।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহাসড়কের দড়িকান্দি বাসস্ট্যন্ড এলাকায় ঢাকাগামী বস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সুনামগঞ্জগামী একটি রিজার্ভ লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই লেগুনার আট যাত্রী নিহত হন। আহত হয় অন্তত ১৫ জন।

আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আনার পর মারা যান একজন। নিহতদের ১০ জনের মরদেহ ভৈরব হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহরিয়ার আলম, বেলাব উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবিবা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

বেলাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবিবা জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মহাসড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈফিকুর ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। তবে যাত্রীবাহী বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুইটি গাড়িই দ্রুতগতিতে আসছিল। এখানে কোনো জ্যাম ছিল না। ওভারস্পিডের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
কোরবানীর ঈদে গত বছরও বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এক্ষেত্রে ঈদের নামাজ আদায়ের পর পশু কোরবানীতে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

ভাদ্রের শুরু দিকে ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল ব্যারোমিটারের পারদ। গত ১৮ আগস্ট তাপমাত্রা গিয়ে ঠেকেছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর ১৯ আগস্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে দেখা দেয় বৃষ্টির ঘনঘটা। কমতে শুরু করে তাপমাত্রা।

সোমবার (২০ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। এখানে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে। এখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।