বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির, ইয়ারমুকে জরুরী মানবিক সাহায্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিংঘের এক কর্মকর্তা ইয়ারমুকের ১৮ হাজার শরণার্থীর অবস্থাকে ‘ভয়াবহ অমানবিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত পহেলা এপ্রিল ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা ওই শিবিরে প্রবেশ করার পর থেকে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকে। বর্তমানে ওই শিবিরের ৯০ ভাগ অংশই জঙ্গিরা দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও তাদের হঠাতে এখনো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনীরা। সিরিয় সরকারের বিরোধিতাকারী ফিলিস্তিনি মিলিশিয়া এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মির কিছু যোদ্ধারা সেখানে জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
লড়াই শুরু হবার পর সেখানে এখনো আটকে থাকা ১৮০০০ শরণার্থীর অবস্থাকে ‘অমানবিকের চেয়েও খারাপ’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা।
সোমবার ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি এবং জর্ডানের রাষ্ট্রদূত দিনা কাওয়ার ইয়ারমুক শিবিরের বেসামরিক লোকজনের জীবন রক্ষা এবং তাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পরিষদের দিনা কাওয়ার বলেছেন, ইয়ারমুকে ইসলামিক স্টেট এবং আল-নুসরা ফ্রন্ট যে মারাত্মক অপরাধ করছে পরিষদের সদস্যরা কঠোর ভাষায় এর নিন্দা জানিয়েছেন । তিনি এ সময় ইয়ারমুক শিবিরের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, মানবিক সাহায্যের প্রবেশ এবং জীবন-রক্ষাকারী সহায়তা পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে আইএসের হামলার পর কয়েক’শ মানুষ শিবিরটি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, তার সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইয়ারমুকের শরণার্থীদের জীবন রক্ষা করা। তিনি এখানকার শরণার্থীদের ইয়ারমুক থেকে সরিয়ে অন্য কোন স্থানে কিংবা সিরিয়ার বাইরে নিয়ে যাবার জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।