বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : তারা তিনজন মিলে গড়ে তোলে সিন্ডিকেট। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা আনে দুজন। মজুদ করে একজন। পরে ঢাকা ও এর আশপাশে বিক্রি করে তারা। ইয়াবার কারবার করে তাদের একজন ছয়টি ট্রাকের মালিকও হয়েছে। আর সেই ট্রাকগুলো ব্যবহার করা হতো ইয়াবা নিয়ে আসার কাজেই। এমন এক ইয়াবা সিন্ডকেটকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) গোয়েন্দারা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়ে সঞ্জয় সাহা (২২), আবু তৈয়ব (৩৮) ও ওবায়দুল (২৯) নামে এই তিন ইয়াবার কারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৮৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএনসির কর্মকর্তারা জানান, সঞ্জয় সাহা গাজীপুরের কালীয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় ইয়াবার গুদাম গড়ে তোলে। ইয়াবা বিক্রির টাকায় সে ছয়টি ট্রাকেরও মালিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
ডিএনসির পরিচালক (অপরাশেনস) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই চক্রটি পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী। মাদকবিরোধী অভিযান ও প্রচারণার অংশ হিসেবে জানুয়ারি মাসে এদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। জাতিকে যারা ধ্বংসের কাজে নিয়োজিত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
ডিএনসির গোয়েন্দা বিভাগের (ঢাকা) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মতিঝিল ও কালিয়াকৈরে অভিযান চালানো হয়। শুরুতেই মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে তৈয়ব ও ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করেন ডিএনসির কর্মকর্তারা। তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াকৈরের একটি গুদামঘর থেকে ৭৬ হাজার ইয়াবাসহ সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
কক্সবাজারের টেকনাফের পানছড়িয়ার ইউনুছ মিয়ার ছেলে তৈয়ব ও কলাতলা থানার আব্দুল আওয়ালের ছেলে ওবায়দুল ইয়াবার বিক্রেতা। তারা সঞ্জয়কে ইয়াবার চালান সরবরাহ করতো।
গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক আলী হায়দার রাসেল বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের কেউই ইয়াবা সেবন করেন না। তবে ক্ষতিকর এই মাদক ব্যবসায় তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এদের মধ্যে সঞ্জয় ইয়াবা বিক্রির টাকায় ছয়টি ট্রাকের মালিক হয়েছে, যেগুলো মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করতো। তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করতো।’
তিনি আরো জানান, মিয়ানমার থেকে সরাসরি ইয়াবার চালান চলে আসতো তৈয়বের কাছে। সে ওই ইয়াবার চালানটি বিভিন্ন মাধ্যমে গাজীপুরে সঞ্জয়ের কাছে পাঠাতো। এরপর সেখান থেকে ইয়াবাগুলো ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতো। তারা তিনজনই আন্তঃজেলা মাদক চোরাকারবারী দলের সদস্য।