স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে থান কাপড় ও পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইসলামপুরে এখন পাইকারি ক্রেতা আর বস্ত্র পরিবহনকারী যানবাহনের কারণে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
ঈদকে কেন্দ্র করে ইসলামপুরে অন্তত ৫শ’ কোটি টাকার কাপড়ের লেনদেন হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
ঈদের মৌসুমে ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততার অন্ত নেই। এখন পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলার ফুরসত পাওয়া যাবে না এ মার্কেটে।
পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর, নবাব বাড়ি এলাকাজুড়ে দেশের বস্ত্রের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেট। বেশির ভাগ দেশীয় বস্ত্র কারখানার উৎপাদিত কাপড়ের শো-রুম আছে এখানে।
তাছাড়া দেশের উৎপাদিত কাপড়ের পাশাপাশি থাই, চাইনিজ, পাকিস্তানি, ভারতীয়, জাপানি প্রভৃতি কাপড়ের বস্ত্রের সমাহার রয়েছে এ মার্কেটে।
সরেজমিনে ঘুরে আরও দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বস্ত্র ব্যবসায় জড়িত ক্রেতারা ইসলামপুরে এসেছেন। দরদাম করে নিজের রুচিমতো কাপড় কিনে নিচ্ছেন তারা।
অগণিত মানুষ দরদাম করতে ব্যস্ত। ইসলামপুরের অলিতে গলিতে কাভার্ড ভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে কাপড় ওঠানামা চলছে। পুরো এলাকার রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের ভিড়ে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল যানজট।
নতুন ক্রেতাকে নগদ আর নিয়মিত ক্রেতাকে চেকে ক্রয় করার সুযোগ অন্য সময়ে দিলেও ব্যস্ততম এ মৌসুমে নগদ ছাড়া বিক্রি করা হয় না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মেসার্স কাশফিয়া ফেব্রিক্সের ম্যানেজার মো. হান্নান বলেন, ‘বছরের এই সময়টা আমাদের সবচেয়ে বেশি বিক্রির সময়। প্রতিটি দিনে লাখ লাখ টাকা বিক্রয় হয় এই মৌসুমে। তাই সবার ব্যস্ততা বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
টাঙ্গাইল থেকে পাইকারি দরে থ্রি পিস কিনতে এসেছেন ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, ‘সারা বছর বিক্রি হোক বা না হোক মফস্বলের দোকানগুলিতে অন্তত ঈদের মধ্যে বিক্রি হয় বেশি। আর তাই বেশি পরিমাণ টাকা একত্র করে এসেছি ইসলামপুরে।’
মোটের উপর এই মৌসুমে কি পরিমাণ ব্যবসা হয় বা এ নিয়ে ব্যস্ততা কেমন এসব নিয়ে কথা হয় ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মাসুদুর রহমান সোহেলের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ল্য থাকে এই মৌসুমে ভালো বিক্রি করা। এজন্য জুন মাস থেকেই ব্যস্ততা শুরু হয়েছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের। সব মিলিয়ে আগামী ১৫ রমজান পর্যন্ত এই পাইকারি মার্কেটে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার বস্ত্রের ব্যবসা হবে ধারণা করা হচ্ছে।’
যদিও সরকারের প থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে, তারপরও গত কয়েক মাসে হরতালসহ নানা নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলে আরও ভালো ব্যবসা করা যেত বলে জানান তিনি।