রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম লে: বিএনপিকে নৌমন্ত্রী

ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম লে: বিএনপিকে নৌমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের মাধ্যমে বিএনপি পুরানো চেহারায় ফিরেছে উল্লেখ করে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম লে।’
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির সমর্থকদের মনোনয়ন ফরম কেনাকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মধ্যেই পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়া হয়। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘কথায় বলে ‘ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম লে’। আবার তারা (বিএনপি) গাড়ি পুড়িয়েছে। আমার কথা হলো যারা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র চাইতে গেলেন, তারা লাঠি পেলেন কোথায়?

‘লাঠি নিয়ে তারা রাস্তায় নেমেছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে। তারা গাড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে। আবার তারা খারাপ একটা অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনকে বানচার করার জন্যই কিন্তু তারা ২০১৪ সালে এমন কর্মকাণ্ড করেছিল। আবার তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে’বলেন শাজাহান খান।

তিনি বলেন, ‘শ্রমিক, কর্মচারী, পেশাজীবী সব মানুষ, ছাত্র-জনতা আমরা সবাই মিলে এ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করব।’

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘নিজে একটা বিল্ডিং করলে, সেই বিল্ডিংয়ের দেয়ালের কোথাও পেরেক ঠুকতে আপনার কষ্ট লাগে। মনে হয় প্রতিটি ঠোকর আপনার হৃদয়ে আঘাত হানছে। আর ভাড়া বাড়িতে পেরেক ঠুকলে আঘাত লাগবে না। ঠিক তেমনি এ দেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি, সে কারণে আমাদের দরদটা বেশি।’

তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে। আবার ২০১৩-১৪ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য বিএনপি-জামায়াতে এগিয়ে চলেছে। ভোট ঠেকানোর জন্য ২০১৪ সালে রেল গাড়ি পোড়ানো, বাস পোড়ানো, লঞ্চে আগুন দেয়াসহ তারা নানা ধরনের নাশকতা করেছিল। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি।’

শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আমিনুল হক আমিন, আবুল হোসেন, কামরুল আলম, বাবুল আক্তার, নুরুল ইসলাম, আবুল শিকদার, জাহানারা, শারমিন শিউলি, ইয়াসমিন প্রমুখ।