আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি এমন যে কোনো দেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মুখোমুখি হবে তেহরান। ইরান মোটেও ভীত না।
বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর ইরানকে দায়ী করে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।-খবর আল-জাজিরার
জবাবে বুধবার একটি অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, একটি কারণেই আপনি ভুলের মধ্যে রয়েছেন। কারণ এই ঘটনায় ইরান জড়িত না। ইরান যদি কোনো দেশের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হতে চায়, তবে সেটা প্রকাশ্যেই হবে।
ইরানের এই ধর্মীয় নেতা বলেন, কিন্তু সবারই জানা উচিত যে আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষায় জোরালোভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজেই সেক্ষেত্রে হস্তক্ষেপে কোনো দ্বিধা করা হবে না। দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন যে কোনো চেষ্টাকে আঘাত করতে কার্পণ্য করা হবে না।
এর আগে ইরাকের আধা সামরিক বাহিনী হাশেদ আল শাবির ওপর রোববারের বর্বর মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন খামেনি। তিনি বলেন, ইরান ও তার সরকার এবং আমি মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শুক্রবার ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এক সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলায় একজন মার্কিন বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এ বিমান হামলা চালায়।
মঙ্গলবার দূতাবাসে হামলার জন্যে ট্রাম্প ইরানকে দায়ী করে বলেছেন, আমেরিকান নিহত হলে এ জন্যে তেহরানকে শাস্তি পেতে হবে।
টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পুরো দায় ইরানের। এর জন্যে তাদেরকে বড়ো ধরণের মূল্য দিতে হবে। এটি সতর্কতা নয়, হুমকি। তেহরান সমর্থিত আধা সামরিক গ্রুপ হাসেদ আল শাবির অন্তর্ভুক্ত গ্রুপ কাতিব হিজবুল্লাহ মার্কিন বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু।