আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি অবমাননা এবং অগ্রহণযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্র আসলে দেখালো তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখে না।
তিনি ‘প্রয়োজনে’ কোনো ‘সীমা ছাড়াই’ পুনরায় পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে নিতে দেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এইওআইকে নির্দেশ দেন। তবে তার আগে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যরা কী বলে তা দেখতে অপেক্ষা করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে চুক্তিটিতে থাকতে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ট্রাম্পের এই ঘোষণায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো। সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ওয়াশিংটন সফরে ট্রাম্পকে চুক্তিটির ওপর মনোভাব পরিবর্তনের ব্যাপারে ‘বুঝিয়ে’ এলেও ফলশূন্যতায় হতাশ তারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল এক যৌথ বিবৃতিতে ইরানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আমরা ইরানকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি। এ চুক্তির আওতায় ইরানের দিক থেকে যেসব বাধ্যবাধকতা আছে, সেগুলো তারা যেনো অবশ্যই মেনে চলে। চুক্তিটির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক ফেডেরিকা মগেরিনি বলেছেন, ‘আমরা এই চুক্তি ধরে রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং তা বাস্তবায়নে তেহরানকে সর্বোত সহযোগিতা করা হবে।’
আর রাশিয়া ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ‘একেবারে হতাশাজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
যার আমলে এই চুক্তি সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই প্রেসিডেন্ট ওবামা তার ফেসবুক পেজে এক বার্তায় বলেছেন, ‘ট্রাম্পের ঘোষণা পথভ্রষ্ট। এই চুক্তিটি কাজ করছিল এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রেরই স্বার্থ ছিল’।
তবে এই ঘোষণায় ট্রাম্পকে সাধুবাদ জানিয়েছে ইসরায়েল ও সৌদি আরব। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষ্যে, একটি ‘বিপর্যয়কর’ চুক্তি থেকে ‘দৃঢ়ভাবে’ সরে আসার এই সিদ্ধান্ত ‘পুরোপুরি সমর্থনযোগ্য’।