সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > ইরানে সুন্নি বিদ্রোহীদের আত্মঘাতী হামলায় ২৭ সেনা নিহত

ইরানে সুন্নি বিদ্রোহীদের আত্মঘাতী হামলায় ২৭ সেনা নিহত

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
আত্মঘাতী বোমা হামলায় ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ডসের ২৭ সেনা নিহত হয়েছেন। বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

দেশটির সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে সম্প্রতি সুন্নি মুসলিম সংখ্যালঘুদের হামলা ও হতাহত সংখ্যা বাড়ছেই।

আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফারসের খবরে বলা হয়েছে, সুন্নি গোষ্ঠী জইশ আল আদল হামলার দায় স্বীকার করেছে। সংখ্যালঘু বালুচিসদের জন্য অধিকতর উন্নত জীবন ও বেঁচে থাকার সুন্দরের পরিবেশের জন্য লড়াই করার দাবি করছে জইশ আল আদল।

ইরানের সামরিক বাহিনীর এই ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জ্যেষ্ঠ নেতা আলী ফাদাভি দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

তিনি বলেন, ইসলামিক বিপ্লবের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা কেবল নিজ সীমানার মধ্যে আটকে থাকবে না। আগের মতোই শত্রুরা বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর কাছ থেকে কঠোর জবাব পাবেন।

সুন্নি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয়ার অভিযোগ তুলে আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরবের ঘাড়ে হামলার দায় চাপিয়ে আসছে ইরান। রিয়াদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।

ইরানের শিয়া মুসলিম কর্তৃপক্ষ বলছেন, পাকিস্তানের নিরাপদ স্বর্গ থেকে বিদ্রোহীরা হামলা পরিচালনা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাতে প্রতিবেশী দেশটিকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে।

এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরকভর্তি একটি যান বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদস্যদের বহন করে নিয়ে যাওয়া একটি বাসকে ধাক্কা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে আরও তেরো সেনাসদস্য আহত হয়েছেন বলে ফার্স জানিয়েছে।

একটি ভিডিওতে পাকিস্তান সীমান্তের এই অস্থিতিশীল রাজ্যটিতে হামলার স্থলে রক্ত ও বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এই সীমান্ত দিয়েই ইরানের বিদ্রোহী ও মাদকপাচারকারীরা তাদের কার্যক্রম চালায়।

হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বাসটি মুচড়ে যাওয়া ধাতব পদার্থে পরিণত হয়। সুন্নি মুসলিম বিদ্রোহীদের ইরানের বড় ধরনের হুমকি ভাবা না হলেও এ হামলাকে তাদের নিরাপত্তার জন্য বড় আঘাত হিসেবে বলা হচ্ছে।

অভিজাত ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ওপর এ পর্যন্ত এটাকেই সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। কাজেই গেরিলা পদ্ধতির হামলা এখন তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি তৈরি করছে।