শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > ইভ্যালির গাড়ি বিক্রির টাকা পাওনাদারদের ফেরত দেওয়া হবে

ইভ্যালির গাড়ি বিক্রির টাকা পাওনাদারদের ফেরত দেওয়া হবে

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইভ্যালির গাড়ি বিক্রির টাকা পাওনাদারদের ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করছি ইভ্যালির পুঁজি বাড়াতে। কারণ পুঁজি বাড়লে পাওনাদারদের ফেরত দিতে পারবো। গাড়ি বিক্রির অর্থ ইভ্যালির আ্যকাউন্টে যাবে। ভবিষ্যতেও যেগুলো বিক্রি করা হবে তার একটাই উদ্দেশ্য পুঁজি বাড়ানো। গাড়ি বিক্রির টাকাও পাওনাদারদের ফেরত দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে গাড়ির নিলাম শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ইভ্যালির পাওনাদারদের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে অডিট করার আগ পর্যন্ত আমরা সঠিক সংখ্যাটা বলতে পারছি না। গাড়ি বিক্রির অর্থ ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে যাবে।

এই গাড়িগুলো ইভ্যালির কাজে ব্যবহৃত হতো না জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়িগুলো ইভ্যালির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করতেন। কিছু লোক ইভ্যালির কিছু গাড়ি আটকে রেখেছেন, যা আইনের ভাষায় চুরি। আমরা আগামী রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এরপর গাড়িগুলো ফেরত না দিলে পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হবে। তাদের গাড়ি উদ্ধার করে ভবিষ্যতেও নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

কতগুলো গাড়ি এখনো বাইরে রয়েছে জানতে চাইলে ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদ বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, চারটি গাড়ির এখন পর্যন্ত আমরা সন্ধান পেয়েছি। তবে এর বাইরে আরও কয়েকটি গাড়ি রয়েছে। আগামী রোববারের পরে হাতকড়া দিয়ে তাদের (যারা ইভ্যালির গাড়ি ব্যবহার করছেন) নিয়ে আসা হবে। কারণ অন্যের গাড়ি আটকে রাখা হলো চুরি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করবো।

‘এখনো বাইরে যে গাড়িগুলো রয়েছে সেগুলো ইভ্যালির সাবেক এমডি রাসেল দিয়েছিলেন। আমরা তাদের ঠিকানা পেয়েছি। তারা গাড়ি লুকিয়ে রেখে বাঁচতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ইভ্যালির সার্ভারের বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যামাজনের সঙ্গে সমঝোতা করে সার্ভারটি খুলতে হবে। কিংবা অন্য যেকোনো প্রক্রিয়ায় এটি আমরা খুলবো।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আরও বলেন, নিলাম প্রক্রিয়া বানচাল করার জন্য কিছু সন্ত্রাসী গন্ডগোল সৃষ্টি করবে বলে আশংকা ছিল। তবে পুলিশ ও র‌্যাবের কড়া নিরাপত্তায় সেটি হয়নি। খুব সুন্দরভাবে ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে নিলাম সম্পন্ন হয়েছে, যা মূল্য পেয়েছি তাতে আমরা খুশি।

তিনি আরও বলেন, এই গাড়িগুলো আমরা নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি।

নিলামে আজ ইভ্যালির রেঞ্জ রোভার গাড়িটি এক কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। গাড়িটি সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে কিনে নেন হাবিবুর রহমান নামে এক প্রকৌশলী।

নিলামে তোলা সাতটি গাড়ির মধ্যে ল্যান্ড ব্র্যান্ডের রেঞ্জ রোভারটি (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৮-৭০৯৮, রেজি: সন-জুন ২০) ছাড়াও ছিল টয়োটা প্রিউস (ঢাকা-মেট্রো-গ-৪৫-৪১২৭, রেজি: সন-জানু ২১), টয়োটা চিএইচআর হাইব্রিড (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৮-৭৫১২, রেজি: সন-জুলাই ২০), টয়োটা এক্সিও (ঢাকা-মেট্রো-গ-৪৫-৪৬২০ এবং ঢাকা-মেট্রো-গ-৪৫-৪৬২১, রেজি: সন-জানু ২১), হোন্ডা ভেসেল (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৮-৯৬১৫, রেজি: সন-জানু ২১), টয়োটার মাইক্রোবাস (ঢাকা-মেট্রো-চ-৫৬-৪৮২২, রেজি: সন-জুন ২০)।