বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্ববান করছি- আপনারা আসুন, আপনাদের মধ্যে যদি কোনো প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি থাকেন নিয়ে আসুন। পরীক্ষা করুন। আমাদের যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকে তা শুধরে দিন। তবে এটা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার আমাদের আর সুযোগ নেই। এটাকে নিয়ে আমাদের সামনে এগুতে হবে। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি এবং আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের প্রত্যেকটা জায়গায় চলে গেছে। শুধু নির্বাচনেই এখনও পর্যন্ত আমরা প্রযুক্তির মাপকাঠিতে পৌঁছুতে পারিনি। এটাকে আমাদের অবশ্যই এড্রেস করতে হবে এবং এখান থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। একসময় না একসময় শুরুটা করতে হবে।
সিইসি আরও বলেন, ইভিএম নিয়ে এখনি আমাদের শুরু করতে হবে। ভুল হলে আমাদের প্রশ্ন থাকবে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে। আবার এগিয়ে যেতে হবে। আবার ভুল হবে, আবার সামনে যাবো। প্রযুক্তি এক জায়গায় থেমে থাকে না। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। সেই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ইভিএমকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে ভোটের অধিকার দেয়ার চেষ্টা করবো। মানুষ ভোট দিতে চায় নির্বাচন কমিশন ভোটারদের জিম্মাদার। নির্বাচন কমিশনের ওপর ভোটারদের ভোট প্রয়োগের মেকানিজম পরিচালনা নির্ভর করে।
তিনি বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করেছি। কোনো ভোটার কোনো আপত্তি করেনি। তারা খুশি ছিলেন। আমাদের ভোটাররা যদি খুশি থাকে, আমরাও খুশি। ভোটাররা যদি নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন। আমরা নিশ্চিন্ত।
তিনি বলেন, ইভিএমের অনুকূলে আইন ও বিধি প্রণিত হয়েছে। এবার নির্বাচনে সীমিতভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরণের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম, ইসির অতিরিক্ত সচিব মুখলেসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।