বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন তার নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ লাখ ৪৬ হাজার। এবার তিনি তা উল্লেখ করেছেন ৩৬ লাখ ৪৯ হাজার। অর্থাৎ পাঁচ বছরে তার নগদ টাকা কমেছে। তবে তার স্ত্রীর তা বেড়েছে ১৩৯ গুণ। ২০০৮-এ তার স্ত্রীর নগদ টাকা ও ব্যাংকে ছিল ৪ লাখ ৪৮ হাজার। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি এক লাখ ৯৯ হাজারে।
অবশ্য নগদ না বাড়লেও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে অনেক। আগের নির্বাচনের সময় যেখানে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩০ হাজার ৫০০ টাকার সেখানে এবার তা দেখানো হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং। বছরে তার আয় কৃষিখাত থেকে ৩১ হাজার, ফিশিং প্রজেক্ট ব্যবসা থেকে ২৯ লাখ ৯৪ হাজার, শেয়ার সঞ্চয়পত্র ব্যাংক আমানত থেকে ৬ লাখ ৮৯ হাজার, হোটেল পেনিনসুলার পরিচালক ভাতা ১২ লাখ এবং এমপি সম্মানি ও টিভি সম্মানি ১৪ লাখ ১২ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে যেখানে নগদ টাকা রয়েছে ৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা, সেখানে স্ত্রীর নামে রয়েছে ৬ কোটি ১ লাখ ৯৯ হাজার। ব্যাংকে জমা রয়েছে নিজ নামে ২৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ৮৩ হাজার। বণ্ড, ঋণপত্র, শেয়ার রয়েছে নিজ নামে ৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ১ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা। নিজ নামে থাকা ২টি গাড়ির মূল্য ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে থাকা ১টি গাড়ির মূল্য ৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। অন্যান্য ব্যবসায় মূলধন আছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে প্রায় ৬০ লাখ টাকার কৃষি ও অকৃষি জমি এবং স্ত্রীর নামে সাড়ে ১৮ লাখ টাকার অকৃষি জমি রয়েছে। নিজ নামে থাকা বাড়ি ও এপার্টমেন্টের মূল্য ৬৫ লাখ টাকা। দায় রয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার।