বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ব্রিটিশ সিনিয়র কূটনৈতিক স্যার টিম ব্যারোকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সদ্য পদত্যাগ করা স্যার ইভান রজার্সের স্থলাভিসিক্ত হবেন।
এর আগে টিম ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মস্কোতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন বলে ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তিনি বেক্সিটের বিষয়ে ইউইতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইইউতে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এবং ঊর্ধ্বতন ‘ব্রেক্সিট’ কূটনীতিক স্যার আইভান রজার্স আকস্মিকভাবে মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া অর্থাৎ, ‘ব্রেক্সিট’ প্রক্রিয়া নিয়ে তিন মাসের মধ্যেই শুরু হতে চলা আলোচনায় আইভান রজার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি পদত্যাগ করলেন।
২০১৩ সালে আইভানকে ইইউ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আইভানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের নভেম্বরে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আইভানের পদত্যাগের কোনও কারণ জানায়নি।
গত মাসে আইভান গোপনে মন্ত্রীদেরকে বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য ইইউ ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত হতে ১০ বছর সময় লাগতে পারে। এমন নেতিবাচক কথা বলে তিনি কয়েকজন এমপি’র সমালোচনার শিকার হন। তবে ইইউ এর ২৭ টি দেশও তার সঙ্গে একমত বলে জানিয়েছিলেন আইভান। কিন্তু মন্ত্রীরা ব্রেক্সিট চুক্তি দুই বছরেই হতে পারে বলে তার বিরোধীতা করেন।
ফলে বিষয়টি নিয়ে আইভান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রকাশ ঘটিয়েছেন বলে অভিমত সমালোচকদের। এ সমালোচনার কয়েক মাসের মাথায়ই আইভান পদত্যাগ করলেন। যদিও তিনি তার এ সিদ্ধান্তের কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেননি।
তবে আইভানের মত একজন অভিজ্ঞ মানুষের পদত্যাগ সরকারের ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় একটি বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন সাবেক লিবারেল ডেমক্রেট নেতা নিক ক্লেগ।
সূত্র: বিবিসি