শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ইউপি নির্বাচন > গ্রামে-গ্রামে ভোট মঙ্গলবার

ইউপি নির্বাচন > গ্রামে-গ্রামে ভোট মঙ্গলবার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: দেশের ৩৪ জেলার গ্রামে গ্রামে ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার (২২ মার্চ)। এদিন নির্বাচন উপযোগী প্রায় সাড়ে চার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্রথম ধাপের ৭২১টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের এ নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ভোট হচ্ছে। এতে বিএনপিসহ অন্যান্য দলও অংশ নিয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষ দীর্ঘ সাত বছর পর আবারো সুযোগ পাচ্ছে নৌকা-ধানের শীষে ভোট দেওয়ার। কেননা, গ্রামের মানুষ ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের পর আর নৌকা-ধানের শীষে ভোট করার সুযোগ পায়নি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেনের দেওয়ার তথ্যমতে, প্রথম ধাপে ৭৩৪টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ১১টি ইউপিতে ২৩ মার্চ ও টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউপির ভোট হবে ২৭ মার্চ। সে মতে ২২ মার্চ ভোট হবে ৭২১ ইউপিতে। এসব ইউপিতে মোট ১৪টি দল প্রার্থী দিয়েছে। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রসহ মোট ৩ হাজর ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৫৪টি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। যার মধ্যে বাগেরহাটেই রয়েছে অর্ধেক।

এদিকে সংরক্ষিত আসনে ৭ হাজার ৫৭৫জন প্রার্থীর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার ৮৪৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে ১৭৯ জন প্রার্থী।

নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। আর ৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এসব কেন্দ্রে ভোটের দিন সর্বোচ্চ ২০জন করে ফোর্স মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ভোটেরর পরের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ডের ভ্রাম্যমাণ ও মোবাইল টিম। এছাড়া নির্বাচনী অপরাধের শাস্তি প্রদানে থাকছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। মাঠে রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। সবমিলিয়ে নির্বাচনে প্রায় ২ লাখ ফোর্স মাঠে থাকবে।

ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ গণমাধ্যমে বলেছেন, এবার শুধু মুখের কথা নয়, বাস্তবেও সন্ত্রাস বরদাশত করা হবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো গাফিলতি করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচনী কর্মকর্তা ও ভোটারদের নিঃসংকোচে অভিযোগ দাখিল করার করার অনুরোধও জানিয়েছেন।

তবে ইসির সব আয়োজন সত্ত্বেও সাধারণ ভোটাররা আশঙ্কা আর উদ্বেগের কথা গণমাধ্যমে বলছেন। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাও নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্নতার কথা জানাচ্ছেন।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগে ৭৩৩ জন, বিএনপি ৬১৩ জন প্রার্থী দিয়েছে। তবে অন্য দলগুলোর কোনটিই ৩০টির বেশি ইউপিতে প্রার্থী দেয়নি। তুলনামূলকভাবে যা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের চেয়েও কম।