শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ইউনূসের ‘চ্যালা’ আতিউরের পদত্যাগ চান লেনিন

ইউনূসের ‘চ্যালা’ আতিউরের পদত্যাগ চান লেনিন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক-এ রক্ষিত টাকা লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানকে ‘ইউনূসের চ্যালা’ আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ চেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুহ-উল-আলম লেনিন।

এর আগে একই দাবি জানিয়েছিল বিএনপি। তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।

সোমবার ভোররাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান লেনিন। তিনি বলেন, পুরো ঘটনার তদন্ত করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

ফেসবুকে লিখিত লেনিনের বক্তব্য
নৈতিক দায় গভর্নর আতিউর রহমান এড়াতে পারেন না। পরম আশ্চর্যের বিষয় : (১) এত বড় একটা কেলেঙ্কারির বিষয় মাসাধিক আগে জানা সত্ত্বেও আতিউর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অর্থমন্ত্রী ও ব্যাংকিং বিভাগের সচিবকে জানাননি কেন? সচিব স্বয়ং গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ইতোমধ্যে দু’বার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভা হলেও সেখানে বিষয়টি না বলে গোপন করা হয়েছে । কার স্বার্থ রক্ষার জন্য?

(২) এত বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা জানা সত্ত্বেও আতিউর কিভাবে নির্লিপ্ত থেকে দিল্লি ভ্রমণ করতে পারেন? কেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করলেন না?

(৩) টাকা চুরি যাওয়া এবং তথ্য গোপন করে দায়িত্ব আচরণের জন্য অবিলম্বে আতিউরকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করা উচিত ।

পুরো ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে দোষী ব্যক্তিদের এবং সেই সঙ্গে ড. মুহম্মদ ইউনূসের চ্যালা আতিউরকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত।

আতিউর ব্যাংকের স্বার্থের চেয়ে নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে আতিউর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পুরস্কার ও পদক সংগ্রহের জন্য গভর্নর পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অথবা বেসরকারি ব্যাংকের অর্থ ব্যয় করেছেন। তদন্ত করে এর সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

কী এমন সৃজনশীল প্রবন্ধ রচনা করে বাংলা সাহিত্যকে আতিউর সমৃদ্ধ করলেন যার জন্য এ বছর তাকে ‘সামগ্রিক প্রবন্ধের জন্য’ বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয়া হলো? এর পেছনেও না-কি অবৈধ প্রভাব কাজ করেছে?

ফলে লেখালেখি করেন এমন ক্ষমতাবান আমলারাও বাংলা একাডেমিকে তাদের একাধিক বই প্রকাশ/ অনুবাদ এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদানে বাধ্য করেন। অধঃস্তন কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে আতিউর ও বড় আমলা গংরা পুরস্কার/পদক এবং নাম কেনার যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করেছে অবিলম্বে তা বন্ধ না করলে জাতির কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।

কোনো দলীয় অবস্থান থেকে নয় একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি আমার অভিমত প্রকাশ করলাম। সংশ্লিষ্ট কারও সাথে আমার কোনো শত্রুতা বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই।

সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থে আমি জেনে বুঝে আমার অভিমত প্রকাশ করছি।