বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া সিরীয় শিশু আয়লানকে নিয়ে আলোচনা আর ক্ষোভ যেন আর থামছেই না। সোমবার ওই শিশুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি মূর্তি তৈরি করেছে ফিলিস্তিনিরা। ওই একই দিনে একটি অভিনব বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন মরক্কোর বিবেকসম্পন্ন বেশ কয়েকজন নারী পুরুষ।
সোমবার ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী রাবাত সৈকতে আয়লানের অকাল মৃত্যুতে বিক্ষোভ করেছেন মরক্কোর বিশিষ্ট নাগরিকরা। ৩০ জনের মত নারী-পুরুষ সমুদ্র সৈকতে শুয়ে ছিলেন আয়লানেরই ভঙ্গিমায়। শিশুটির মতই তাদের পরনে ছিল লাল জামা আর নীল হাফপ্যান্ট। তারা প্রায় ২০ মিনিট ধরে বালির ওপর মুখ গুজে শুয়ে থাকেন। আয়োজকদের একজন হচ্ছেন মরক্কোর অভিনেত্রী লতিফা আহরার। তিনি বলেছেন,‘একজন শিল্পী হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে এ ধরনের অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানানো। সহকর্মীদের নিয়ে আমি স্বল্প সময়ের এ বিক্ষেভে অংশ নিলাম। তবে আশা করছি এর ফল হবে সুদূরপ্রসারী।’
সাংবাদিক রসিদ এল বেলঘিতি বলেছেন,‘ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এখনো প্রচুর স্থান রয়েছে। কাজেই স্বৈরাচারী, গৃহযুদ্ধ ও সন্ত্রাসবাদের শিকার এসব অসহায় মানুষদের প্রতিরোধ না করে আশ্রয় দেয়া উচিত।’
এদিকে সোমবার আয়লানের স্মরণে গাজা উপত্যকার সাগরতীরে একটি শিশু মূর্তি স্থাপণ করেছে ফিলিস্তিনিরা। এর কিছুটা দূরেই রয়েছে আলোচিত এক বধ্যভূমি, যেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল একই পরিবারের চার ফিলিস্তিনি শিশু। গতবছর ১৬ জুলাই ৫০ দিনের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় গাজার ওই সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলার সময়ই নিহত হয় এসব ফুটফুটে শিশুরা।
সম্প্রতি সিরিয়া থেকে গ্রিসের কস দ্বীপে পাড়ি জমানোর সময় এক নৌডুবিতে মারা যায় তিন বছরের শিশু আয়লান কুর্দি। পরে তুর্কি উপকূলে ভেসে ওঠে তার মৃতদেহ যা এখন শুধুই ইতিহাস।