বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আসন্ন ঈদকে ঘিরে উত্তর জনপদের সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। জেলা সদর থানা পুলিশ এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিপুল পরিমাণ মারননেশা ভারতীয় ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ আটক করে বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে।
এদিকে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বার বার বলা হয়, এ জেলাকে একটি মাদক মুক্ত জেলা করতে হবে। কিন্তু সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীদের অদৃশ্য এবং অদম্য সাহস হার মানানোর চেষ্টায় রত পুলিশ বিভাগকে ।
বর্তমান লালমনিরহাট ১৫ বর্ডারগার্ড ব্যাটলিয়ন (বিজিবি) সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকলেও সীমান্ত পেরিয়ে দেদারছে আসছে ভারতীয় মদ, ফেন্সিডিল সহ গাঁজা এবং নাম না জানা হরেক নামের মাদক দ্রব্য।
গত কদিন আগে স্থনীয় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে পুলিশিং কমিটির এক্সিট সভায় পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে মাদক নিয়ে। এসময় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি, জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাড, মতিয়ার রহমান, পুলিশিং কমিটির জেলা আহবায়ক অধ্যক্ষ বাশারফ হোসেন, বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন(অব) আজিজুল হক সহ প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মাদক নিমূর্লে লালমনিরহাটের পুলিশ বিভাগের অনেকগুলো পদক্ষেপ এবং সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এ এসপি সার্কেল মাহফুজুর রহমান।
তবে সীমান্ত রক্ষীগণ মাদক নিয়নস্ত্রনে একটু আন্তরিক হলে আরও বেশী সম্ভব এ জেলা হতে মাদক সেবন ও ব্যবসীদের দমন প্রক্রিয়া।
এখন অভিনব কায়দায় এ জেলা হতে গোটা দেশে মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে বেশ ক’টি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়। এ জেলায় শুধু ভারতীয় মরণ নেশাই নয় যুব সমাজের ধ্বংসের জন্য একটি চক্র হিরোইনের মতো জীবন ধ্বংসকারী আর এক নেশারও তথ্য ফাঁস হয়েছে। সচেতন মহল সঙ্কিত হয়ে পড়েছে তাদের উঠতি বয়সী সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
বিকেল হলেই লালমনিরহাট শহর হতে- কুলাঘাট, মোগলহাট গামী সবকটি সড়কে দেখা যায় মোটরসাইকেলে যাতায়াতকারীদের অধিকাংশই মাদকের ছোবলে আক্রান্ত। বিশেষ করে আদিতমারীর মান্নানের চৌপথি সহ এ জেলায় প্রায় দুইশতাধিক পয়েন্টে এসকল মাদক কেনা বেচাঁ হয়। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসন দিয়ে মাদক চোরাচালান বা নেশা গ্রহন সম্ভব নয় চাই সকল স্তরের মানুষের সহযোগীতা।