শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আসছে টাইম স্কেলের বিকল্প পদ্ধতি

আসছে টাইম স্কেলের বিকল্প পদ্ধতি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : অবশেষে আশার আলো দেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন বেতন কাঠামোয় বিলুপ্ত টাইম স্কেলের একটি বিকল্প পদ্ধতি আসতে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য কাজ শুরু করেছে। যার অংশ হিসেবে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন, শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন বেতন কাঠামোয় বিলুপ্ত হওয়া টাইম স্কেলের পরিবর্তে একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি আনতে দুই মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও মর্যাদা দুটিই নির্ধারিত হবে বলে সূত্রটি জানায়।

বৈঠকে এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক। আমাদের তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। আমি আশা করি, অচিরেই তারা হাসিমুখে রাজপথে ছেড়ে ক্লাশরুমে ফিরে যাবেন।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে অবহিত করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী নিজেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চলে আসেন। শিক্ষামন্ত্রীর কক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সিলেট অঞ্চলের এই দুই মন্ত্রীর মধ্যে।

বৈঠকে উপস্থিত সূত্র বাংলামেইলকে জানান, বৈঠকের পুরোটা জুড়েই ছিল শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ। শিক্ষকদের আন্দোলনে রয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা এবং সদ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত পে-স্কেলে শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও সিলেকশেন গ্রেড বহাল রাখার দাবি। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারাও পে-স্কেলে টাইম স্কেল বাতিলের বিরোধিতা করে আসছে। শিক্ষকরা টাইম স্কেলের পরিবর্তে একটি বিকল্প পদ্ধতিতে একই সুযোগ সুবিধা পান সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টাইম স্কেল বাদ দেয়া হয়েছে, এখন শুধু শিক্ষকদের জন্য বহাল রাখতে হলে অন্যদের সমস্যা হবে। শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে অন্য বিকল্প পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হবে। তবে সেই পদ্ধতি এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি দুই মন্ত্রণালয়।

সদ্য ঘোষিত পে-স্কেল নিয়ে শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাদের টাইম স্কেল ও সিলেকশেন গ্রেড নিয়ে চলছে বেতন বৈষম্যের আন্দোলন। সরকার গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেতন বৈষম্য দূরীকরণে মন্ত্রিসভার কমিটি পুনর্গঠন করেছে। কমিটির প্রধান হিসেবে থাকছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা নিয়ে আপত্তি বিবেচনা করে তা মীমাংসার দায়িত্বও দেয়া হয়েছে এই কমিটিকে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন- শিল্প, বাণিজ্য, আইন ও শিক্ষা মন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে গত কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা; আন্দোলন শুরু করেছেন সরকারি কলেজ শিক্ষকরা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষকদের দাবির আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ছে শিক্ষাঙ্গন। প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকেই নানা কর্মসূচি রয়েছে ঈদের পর। যা লেখাপড়ার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলামেইল২৪ডটকম
আসছে টাইম স্কেলের বিকল্প পদ্ধতি
বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা : অবশেষে আশার আলো দেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন বেতন কাঠামোয় বিলুপ্ত টাইম স্কেলের একটি বিকল্প পদ্ধতি আসতে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য কাজ শুরু করেছে। যার অংশ হিসেবে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন, শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন বেতন কাঠামোয় বিলুপ্ত হওয়া টাইম স্কেলের পরিবর্তে একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি আনতে দুই মন্ত্রণালয় সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও মর্যাদা দুটিই নির্ধারিত হবে বলে সূত্রটি জানায়।

বৈঠকে এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক। আমাদের তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। আমি আশা করি, অচিরেই তারা হাসিমুখে রাজপথে ছেড়ে ক্লাশরুমে ফিরে যাবেন।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে অবহিত করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী নিজেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চলে আসেন। শিক্ষামন্ত্রীর কক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সিলেট অঞ্চলের এই দুই মন্ত্রীর মধ্যে।

বৈঠকে উপস্থিত সূত্র বাংলামেইলকে জানান, বৈঠকের পুরোটা জুড়েই ছিল শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ। শিক্ষকদের আন্দোলনে রয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা এবং সদ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত পে-স্কেলে শিক্ষকদের টাইম স্কেল ও সিলেকশেন গ্রেড বহাল রাখার দাবি। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারাও পে-স্কেলে টাইম স্কেল বাতিলের বিরোধিতা করে আসছে। শিক্ষকরা টাইম স্কেলের পরিবর্তে একটি বিকল্প পদ্ধতিতে একই সুযোগ সুবিধা পান সেই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টাইম স্কেল বাদ দেয়া হয়েছে, এখন শুধু শিক্ষকদের জন্য বহাল রাখতে হলে অন্যদের সমস্যা হবে। শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে অন্য বিকল্প পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হবে। তবে সেই পদ্ধতি এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি দুই মন্ত্রণালয়।

সদ্য ঘোষিত পে-স্কেল নিয়ে শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাদের টাইম স্কেল ও সিলেকশেন গ্রেড নিয়ে চলছে বেতন বৈষম্যের আন্দোলন। সরকার গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেতন বৈষম্য দূরীকরণে মন্ত্রিসভার কমিটি পুনর্গঠন করেছে। কমিটির প্রধান হিসেবে থাকছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা নিয়ে আপত্তি বিবেচনা করে তা মীমাংসার দায়িত্বও দেয়া হয়েছে এই কমিটিকে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন- শিল্প, বাণিজ্য, আইন ও শিক্ষা মন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে গত কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা; আন্দোলন শুরু করেছেন সরকারি কলেজ শিক্ষকরা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষকদের দাবির আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ছে শিক্ষাঙ্গন। প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকেই নানা কর্মসূচি রয়েছে ঈদের পর। যা লেখাপড়ার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলামেইল২৪ডটকম