বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সরকারের সাবেক ও বর্তমান নয় সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে আটজন বর্তমান ও একজন সাবেক সচিব রয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, স্বাস্থ্য সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব (বর্তমানে বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান) মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন (সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব), যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম তালুকদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব একেএম আমির হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায় ও যুগ্ম-সচিব আনোয়ার হোসেন।
দুদক সূত্র থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায় ও যুগ্ম-সচিব আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান অভিযোগটি পরীক্ষার জন্য বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্তের মহাপরিচালক ব্রি. জে. (অব.) এমএইচ সালাহউদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা অর্জনের আলোক উৎসব ও জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ ২০১৩ পালন উপলক্ষে মোট ১০ কোটি টাকা চাঁদা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে বিপিডিবি, পিজিসিবি, ডেসকো, ডিপিডিসি, ইজিসিবি, এপিএসসিএল, আরপিসিএলের কাছ থেকে চার কোটি এবং সামিত গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, এস. আলম গ্রুপ ইত্যাদির কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা চাঁদা সংগ্রহ করা হয়।
এর মধ্যে কর্মসূচি পালনে মোট তিন থেকে চার কোটি টাকা খরচ হয়। বাকি টাকা বিদ্যুৎ সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিব পাচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
দুদক সূত্র আরো জানায়, সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পল্ট বরাদ্দ নিয়েছেন এমন অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সম্প্রতি এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়কে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাংলামেইল২৪ডটকম