শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আলাদা বেতন কাঠামো না পাওয়াতে ক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা

আলাদা বেতন কাঠামো না পাওয়াতে ক্ষুব্ধ ব্যাংকাররা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন ব্যাংকিং খাতের কর্মীরা। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো চুড়ান্ত করার পথে সরকার। ফলে ব্যাংক খাতের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশে আরো বেড়ে গেছে। তারা বলছেন, এটাসরকারের দ্বিমাতা সুলভ আচড়ন। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ চার ব্যাংকে বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজারের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
এদিকে, সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো চুড়ান্ত করার পরও সরকার কেন চুপ স্পষ্ট নয়। অনেকে বলছে, সরকার হয়তো শেষ পর্যন্ত কোন ভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কাঠামোকে কোন ভাবে সম্বনয় করে ব্যাংকগুলোকে অন্তভূক্ত করতে পারে। যদিও বেতন কমিশন, ব্যাংকগুলোর জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর সুপারিশ করেছিলো।
তবে মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয়য় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ ব্যাংক খাতের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
অথচ ২০১৩ সালের নভেম্বরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন চার ব্যাংকের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো হবে। তৎকালীন অর্থসচিব ফজলে কবির এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলমও তখন বলেছিলেন, ‘সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। প্রজ্ঞাপন হওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। প্রজ্ঞাপন হয় হয় করেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। অবশ্য ফজলে কবির বর্তমান রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো করতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানা গেছে। আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ইতিবাচক মত দিয়েছে দুই বছর আগেই। তখন অনুমোদন দেয় সচিব কমিটিও। তবে অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ ব্যাপারে নানা উদ্যোগ নিয়েও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন অদৃশ্য কারণে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশনস, ২০০৩ অনুযায়ী স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর একটি প্রস্তাব নিজের পর্ষদ বৈঠকে উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পর্ষদ তা অনুমোদন দিলে অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়। তারপর এর আর কোনো অগ্রগতির তথ্য জানা যায় না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য স্বতন্ত্র বা পৃথক বেতনকাঠামো হবে এমনটা প্রত্যাশা আমাদের। আমরা প্রতীক্ষায় আছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি রাষ্ট্রমালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের অভিন্ন বেতনকাঠামোর বিষয়টিও সিদ্ধান্ত হয়েই ছিলো। এ ব্যাপারে কয়েক বছর আগে তৎকালীন আইনসচিব হাবিবুল আউয়ালের মতামত নেয় অর্থ বিভাগ। তবে ইতিবাচক এ মত কার্যকর করা হয়নি।
নতুন বেতন কাঠামোতে সরকারি চাকুরিজীবিদের বেতন ভাতা প্রায় দ্বিগুন বাড়ছে। সর্বোচ্চ বেতন হচ্ছে ৭৫ হাজার টাকা। সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২শ টাকা। তাতে ১৬টি ধাপের কথা বলা হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। আসলে অর্থ বছর থেকেই এটি কার্যকর হবে। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক