শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > আরও ৬ মাস ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’র আওতায় বিমান

আরও ৬ মাস ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’র আওতায় বিমান

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাকরি ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’র (অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিস) আওতায় থাকছে আরও ৬ মাস। এ জন্য সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৪ মার্চ ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিমানে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১৯৫৮ সালের অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্সের ক্ষমতাবলে বিমান কর্মীদের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবার আওতায় আনা হয়। এরপর কয়েক দফা ৬ মাস করে সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৬ মাস মেয়াদ শেষ হয়েছে গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর)।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীন আখতার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণার প্রযোজ্যতার মেয়াদ ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের অধীনস্থ সব শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্সের প্রযোজ্যতার মেয়াদ ১৩ সেপ্টেম্বর শেষ। কিন্তু বিমানের সব শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে এ অধ্যাদেশের প্রযোজ্যতার প্রয়োজনীয়তা এখনও রয়েছে।

অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্সের আওতায় আসার কারণে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ঊর্ধ্বতনদের কোনো নির্দেশ অমান্য করতে পারবেন না। কর্মবিরতি বা ধর্মঘট ডাকতে পারবেন না, বিনা নোটিশে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না। এসব কাজ করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এ অর্ডিন্যান্সের অধীনে কেউ অপরাধে করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কর্মরত অনেক সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে আদম ও মুদ্রা পাচার, চোরাচালানসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা বদলি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিবিএ নেতাদের হাতে হেনস্তা হয়েছেন, পড়েছেন আন্দোলনের মুখে। ওই প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালে সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাকরি ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবার’ (অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিস) আওতায় আনা হয়।

বেসামরিক বিমান চালাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বিমানকে অ্যাসেনশিয়াল সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্সের আওতার মেয়াদ বাড়ানোর চিঠি পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।