রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আমরা প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছি

আমরা প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘থানছি সীমান্তে সেনা ও বিজিবি পাঠানো হয়েছে। বিকেল ৫টা-৬টার মধ্যেই তারা সেখানে গিয়ে পৌঁছবে। আমরা প্রস্তুতি নিয়েই সেখানে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আরো সেনা-বিজিবি পাঠানো হবে। আগামী কিছুদিন আমাদের বাহিনী সেখানে থাকবে।’

বান্দরবানের থানছি উপজেলার দুর্গম রোমাক্রী ইউনিয়নের বড় মোদক এলাকায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) ও আরকান আর্মির গোলাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেল পৌনে ৩টায় সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই এলাকায় আমাদের লোকজন তেমন থাকেন না। তাই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আসতেই পারে। এ জন্য আমরা এক মাস অন্তর অন্তর এ ধরনের মেজর অপারেশন পরিচালনা করি। আমরা গত এপ্রিলে করেছি। ঈদের আগেই করলাম। সেটা তো অনেক বড় ছিল।’

কীভাবে অপারেশন চালানো হবে জানতে চাইলে বিজিবির এই শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘সেখানে যারা আছে তাদের কী অপারেশন করতে হবে সব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি পরিকল্পনা করে রেখেছি।’ এসময় তিনি তার হাতে থাকা একটি ম্যাপ দেখিয়ে বলেন, ‘এই ম্যাপে সবুজ চিহ্নিত জায়গাগুলো মিয়ানমারের। এই জায়গাটা বড় মোদক। এর পরে মিয়ানমার। আমরা জমিগুলো পেয়ে গেলে এবং সেখানে যাওয়ার জন্য একটা হেলি সাপোর্ট (হেলিপ্যাড) পেয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে জমিগুলো উদ্ধার করা হবে। কিছুদিন আগে অপারেশনে আপনারা ৫২, ৭৫ নম্বর পিলারের কথা শুনেছেন। এসব জায়গায় আমরা অপারেশন চালিয়েছি।’

কয়জন আহত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একজনের গুলি লেগেছে। তার হাতের রক্ত বন্ধ করা হয়েছে। হাতটা বেধে রাখার কারণে একটু ফুলে গেছে।’

পরিস্থিতি কখন নিয়ন্ত্রণে আসবে জানতেই চাইলে তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি। আমরা তো চেষ্টা করছি। আসলে বলা যাবে না তারা (যাদের পাঠানো হয়েছে) ৫টার মধ্যে পৌঁছুবে। আশেপাশে এমন জায়গা নেই যে একটা হেলিকপ্টার ল্যান্ড করবে। কোনো হেলিপ্যাড নেই। আমরা একটা জায়গায় তাদের নামিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকে তারা যাচ্ছে।’

অপারেশনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সেনা ও বিজিবি যাচ্ছে। আমরা আরও পাঠাবো। আগামী কয়েকদিন সেখানে ক্রমাগত আমরা অপারেশন করবো। কিছুদিন আমরা সেখানে অবস্থান করবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মোদক থেকে ৬টি আর থানছি থেকে ৪টা ঘোড়া জব্দ করা হয়েছে। যে ঘোড়াগুলো ধরা হয়েছে সেগুলো আরাকান থেকে আসা। দূর্গম এলাকায় রসদ পাঠানোর জন্য আরকান বিদ্রোহীরা এসব অ্যারাবিয়ান ঘোড়া ব্যবহার করতো। এগুলো গতকালই জব্দ করা হয়েছে। আর এই কারণেই হয়তো তাদের উপর এ আক্রমণটা হতে পারে।’