শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ‘আমরা দীর্ঘ দিন হয়ত সুরঞ্জিত দার অভাববোধ করবো’

‘আমরা দীর্ঘ দিন হয়ত সুরঞ্জিত দার অভাববোধ করবো’

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ডা. অপু মণি বলেন, একজন রাজনীতিক হিসেবে সুরঞ্জিত দার তুলনা তিনি নিজেই। তার অভাব পূরণ হবার নয়।

মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।

ডা. দীপু মণি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে আমরা নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের রাজনীতিক ও সংসদ সদস্যকে হারালাম। তিনি তার এলাকার একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন। সাধারণ জনগণের একজন আপন, কাছের, প্রিয় মানুষ ছিলেন। যিনি বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও সাতবার তার সংসদীয় এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সংসদে বলেন, বঙ্গবন্ধু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে খুব পছন্দ করতেন। কারণ তিনি তর্কের মাধ্যমে তার বোঝার বিষয়টি তুলে ধরতেন। তার মতামত তুলে ধরতে কখনো দ্বিধা করতেন না। একইভাবে তার কাছে অন্যেরাও মতামত তুলে ধরতে পারতো। আমরা দাদা’র থেকে অনেক ছোট তারপরও তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা দিতেন যাতে আমরা যেকোন আলোচনায় আমাদের মতামত তার সামনে তুলে ধরি। এটি তিনি সংসদেও বলতেন। সংসদে বক্তব্য দেওয়া যে পল্টনের বক্তব্য না সেটাও আমরা তার কাছ থেকে শিখেছি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন। সে কারণে  দেশ কোথায় ছিলো, কোথায় যাবে, কেমন হবে, সেটা করতে হলে আসলে কোন বিষয়টার দিকে নজর দিতে হবে এ বিষয়গুলো তার কাছে অনেক স্পষ্ট ছিলো ইতিহাসবোধের কারণে।

আমি মনে করি তার মত লোক আর আসবে না। তিনি যেকোন বিষয়ে খুব সহজে তীর্যক মন্তব্য করতে পারতেন, তীক্ষèভাবে কথা বলতেন। তিনি অসাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন ছিলেন। মানুষকে সহজে তার কাছে টেনে নিয়ে যেতে পারতেন। আমরা দীর্ঘদিন, হয়ত চিরদিন তার অভাববোধ করবো।