রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আবেদনময়ী এক নারী হ্যাকার

আবেদনময়ী এক নারী হ্যাকার

শেয়ার করুন

বিনোদন ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি ব্যবহারে থেমে নেই নারীরা। তেমনি পুরুষদের মতো সাইবার ক্রাইমে অনেক আগেই থেকেই (হ্যাকিং জগতে) নাম লিখিয়েছেন নারীরাও। বিশ্বে শীর্ষ নারী হ্যাকারদের মধ্যে ক্রিস্টিনা সেভচিনিসকায়া একজন। যিনি বিশ্বে ড়িৎষফ ংবীরবংঃ যধপশবৎ হিসেবেই বেশি পরিচিত। রাশিয়ান এই নারী হ্যাকারের জন্ম ১৬ই ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ সালে। পড়াশোনা নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১০ সালের ২রা নভেম্বর হ্যাকিংয়ের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পরই সবার নজরে উঠে আসে বিশ্বের শীর্ষস্থান দখল করা নারী হ্যাকার ক্রিস্টিনা সেভচিনিসকায়া।

যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের ব্যাংকগুলো থেকে লক্ষাধিক ডলার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ক্রিস্টিনা। আটজনের হ্যাকার দলের মধ্যে নিজেই বিভিন্ন ব্যাংকের হাজারো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ত্রিশ লাখ ডলার সরিয়ে নেন তিনি। আর হ্যাকিংয়ের জন্য তিনি ব্যবহার করেছিলেন ট্রোজান হর্স ভাইরাস। তার বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার ডলার সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ গঠন করা হয়।

২৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে দ্য নিউ ইয়র্ক হ্যাকার দলের অন্য সদস্যদের জামিন হলেও জাল পাসপোর্ট রাখার অভিযোগে তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলতে পারা এই হ্যাকার শুরুতে স্তাভ্রপল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন।

ক্রিস্টিনার মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যুর তিন বছর পর ক্রিস্টিনাকে নিয়ে ম্যাসাচুয়েটসে যান তিনি। সেখানে ফাস্টফুড শাখায় কাজ নেন ক্রিস্টিনা। সেখানকার এই অল্প উপার্জনে জীবনযাপন কঠিন হয়ে উঠলে তিনি নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান। নিউ ইয়র্কে এসেই হ্যাকার দলে যোগ দেন চতুর ক্রিস্টিনা। যেখানে কয়েক ডজন হ্যাকার একসঙ্গে কাজ করেন। যাদের প্রধান কাজটাই ছিল ভুয়া পাসপোর্ট বানানো।

তবে মজার বিষয় হলো, ক্রিস্টিনার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে ভার্চুয়াল জগতে এবং রাশিয়াসহ অনেক দেশে। তারা কখনও বিশ্বাস করেন না ক্রিস্টিনা আসলেই অপরাধী। অনেকেই মনে করেন, ক্রিস্টিনাকে নিয়ে আসলে যেসব তথ্য উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আছে তা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের মিথ্যাচারেরই অংশ।

সূত্রমতে, ক্রিস্টিনা যেখানে কাজ করতেন সেখানে আসলে নারী বলতে একজনই ছিল, যার নাম ম্যারি সুরাত। তবে আদালতের যুক্তি প্রমাণ হয়তো বিবেচনা করবে কে আসল হ্যাকার। তার আগেই পুরো বিশ্বের কাছে এই ক্রিস্টিনাই শীর্ষস্থানীয় এক নারী হ্যাকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। আলোচিত তার পোশাক আশাকের বিষয়েও।