শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আবারো ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার

আবারো ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ অবরোধে পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন ঘটায় আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ টাকা। ভারতে পণ্যটির দাম নিম্নমুখী ও মোকামে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও অবরোধে খাতুনগঞ্জে গাড়ি না আসতে পারায় দাম বাড়তির দিকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকার আড়তগুলোয় গত শুক্রবার প্রতি কেজি ভালো মানের ভারতীয় (নাসিক) পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৪-৩৫ টাকায়। একই জাতের মাঝারি মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০-৩২ টাকায়। গত সপ্তাহের প্রথম দিকেও (রোববার-সোমবার) বাজারে এ দুই জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৭-২৯ টাকার মধ্যে। সে হিসাবে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫-৮ টাকা পর্যন্ত।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স সি আর জি ট্রেডিং অ্যান্ড কোংয়ের স্বত্বাধিকারী বলায় কুমার পোদ্দার বলেন, অবরোধে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় গত সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের বাজার আবার বাড়তে শুরু করে। এক সপ্তাহে দৈনিক ১-২ টাকা করে বেড়ে বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৪ টাকায়। এর আগে ভারতীয় রফতানি সংকোচন নীতি ও হরতাল-অবরোধে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বমুখী ছিল পণ্যটির বাজার। ওই সময় ১ কেজি পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১৫০ টাকায় পৌঁছে। তবে ১৫ দিন থেকে অবরোধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় ও ভারতে দাম কমায় সরবরাহ বেড়ে খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫-২৭ টাকায়।

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ সরবরাহ সংকট। বর্তমানে ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী। মেহেরপুর, ফরিদপুর, পাবনা, ঈশ্বরদীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের মোকামগুলোয় নতুন মৌসুমের দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু অবরোধের কারণে তিন-চারদিন থেকে বাজারে পেঁয়াজের গাড়ি আসছে কম। যে কয়েকটি গাড়ি আসছে, তাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। সরবরাহ ঘাটতি ও বাড়তি গাড়ি ভাড়ার কারণে বাজারে আবারো দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে অবরোধের কারণে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বিঘ্ন হওয়ায় আবারো মিয়ানমার থেকে আমদানি শুরু করছেন আমদানিকারকরা। গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন আমদানিকারক মিয়ানমার থেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ বস্তা পেঁয়াজ আমদানি করেছেন বলে ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০-৩২ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী রতন রায় জানান, এখন দেশী পেঁয়াজের মৌসুম। এ সময় ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের বাজারগুলোয় দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। কিন্তু চট্টগ্রামে দেশী পেঁয়াজের চাহিদা একটু কম। তাছাড়া অবরোধের কারণে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা দেশী পেঁয়াজ বাজারে তুলছেন না।

গত কয়েকদিন থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও কমেছে। এমনকি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হিলি বন্দর দিয়ে প্রবেশ করা পেঁয়াজের ট্রাকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপে গাড়ির চালক ও সহযোগী নিহতের ঘটনায় এখন কোনো গাড়িই পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আবারো পেঁয়াজের বাজার অস্থির হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।