শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > আবজালের দুর্নীতিতে সহযোগিতা: ৬ চিকিৎসককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

আবজালের দুর্নীতিতে সহযোগিতা: ৬ চিকিৎসককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবরক্ষক আবজাল হোসেনের দুর্নীতিতে সহযোগিতার অভিযোগে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল করিমসহ ছয় চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার সকাল ১০টায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তারা হলেন- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মায়েনুল, মেডিসিন বিভাগের সহযাগী অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ ও হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবুল বারকাত মুহাম্মদ আদনান।

গত ২৪ মার্চ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৪ জনকে তলব করে নোটিশ পাঠায় দুদক।

পর্যায়ক্রমে তাদের ১, ২ ও ৩ এপ্রিল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

২ এপ্রিল যে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তারা হলেন— স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন এবং লাইন ডিরেক্টর, প্রি-সার্ভিস এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রশিদ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আলম, সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শহিদুল হক ও অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম।

এর পর ৩ এপ্রিল আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। তারা হলেন— কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সাহা, প্যাথলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহা. কামরুল হাসান, স্টোরকিপার মো. আবু জায়েদ ও হিসাবরক্ষক হুররমা আকতার খুকি।

প্রসঙ্গত দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমে গত ১০ জানুয়ারি আবজালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এর আগে ৬ জানুয়ারি আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি দেয় দুদক।

১৩ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ও আবজালের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম এই চিঠি দেন। চিঠিতে আবজাল ও তার স্ত্রীর পাসপোর্ট নম্বর, এনআইডি নম্বর দিয়ে তাদের বিদেশ যাওয়া-আসার তথ্য চাওয়া হয়।

চিঠিতে ৬ জানুয়ারি দেয়া চিঠির সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়, ওই চিঠিতে এই দম্পতির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা বলা হয়েছিল।

১০ জানুয়ারি আবজালকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের অনুসন্ধান টিম। ২১ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক অর্থাৎ হস্তান্তর বা লেনদেন বন্ধ এবং ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন জব্দ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত, তা এরই মধ্যে কার্যকরও হয়েছে।

তাদের অবৈধ স্থাবর সম্পদ এরই মধ্যে ক্রোক করা হয়েছে। উত্তরার ৫টি বাড়ি ও বাড্ডায় একটি ফ্ল্যাটে ১৮ মার্চ আদালতের ক্রোকের নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়।