শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > আপাতত মশা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি : সাঈদ খোকন

আপাতত মশা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি : সাঈদ খোকন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন মশা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সারা দিন ব্যস্ত থাকেন, অন্য কোন দিকে খেয়াল নেই। এমন কথা মেয়র নিজেই বলেন সাংবাদিকদের। সোমবার নগর ভবনে তৃতীয় বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি এলাকার সড়কের বেহাল অবস্থার কথা সাংবাদিক করা জানালে, মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আপাতত মশা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি, অন্যকাজের দিকে সময় দিতে পারছি না।

সাংবাদিকরা জানায়, সদরঘাট থেকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সড়ক ও শ্যামপুর থেকে সদরঘাট যাওয়ার সড়কের বেহাল অবস্থার কথা। এর জবাবে মেয়র বলেন, আমি জানি সড়কের অবস্থা খুব খারাপ। মশার জন্য অন্যদিকে নজর দিতে পারছি না।

এ সময় মেয়র মশা নিধনের নানা ধরনের কার্যক্রম আলোচনা করে বলেন, টকশোতে দেখা যায়, অনেকেই বলছেন মশার ওষুধ থেকে কেরসিনের গন্ধ আসে। মশার ওষুধে পানি মেশানো হয়।

এর জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, কেরসিন দিয়ে মশার ওষুধ তৈরি করা হয়। এ জন্য কেরসিনের গন্ধ আসে। মশা নিধনের জন্য ৯৯ দশমিক ৪০ শতাংশ কেরসিনের মধ্যে দশমিক ৬০ শতাংশ ক্যামিকেল মিলিয়ে মশার ওষুধ তৈরি করা হয়, যা ডব্লিউ এইচ ও থেকে স্বীকৃতি।

মশার ল্যার্বি নষ্ট করা ওষুধে পানি মেশানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম সালেহ ভূঁইয়া জানান, মশার লার্বি নষ্ট করার জন্য ১০ লিটার পানির মধ্যে ৫ সিসি ক্লোরাপাইরিফোর্স মেশানো হয়। তবে এই কিটনাশক ১০ সিসি পর্যন্ত মেশানো হয় যখন মশার ঘনত্ব ও পানির ময়লার ঘনত্ব বেশি থাকে। এর বেশি কিটনাশক মেশালে অন্য জীবকূলের সমস্যা হবে।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ছিলো ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে গত অর্থ বছরে এই খ্যাতে ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

পরিবর্তন ডট কম থেকে নেয়া