বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে খবর আছে: শেখ সেলিম

আন্দোলনের নামে সহিংসতা হলে খবর আছে: শেখ সেলিম

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সরকারের পতনের আন্দোলনের নামে সহিংসতা করা হলে খবর আছে বলে বিএনপির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

এছাড়া স্বাধীনতাবিরোধী এবং যারা দেশে আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয় বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলটির ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গণশোভাযাত্রা পূর্ব এক সমাবেশে শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গত নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এখন তিনি বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন আর বলছেন আলোচনা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের পতন ঘটাবেন।’
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘গত নির্বাচনের সময় আন্দোলন করে আমাদের পতন ঘটাতে গিয়ে তাদেরই পতন হয়েছিল। এখন আবারো আন্দালন করে আমাদের পতন ঘটাতে গিয়ে দেশে সহিংসতা করলে তাদের খবর আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার বিষদাঁত ভেঙ্গে দেবে।’
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরাধী অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রত্যক পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। নজর রাখতে হবে কেউ যেন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ না করে।’
সমাবেশের পর গণশোভাযাত্রা শুরু হয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, বাহাউদ্দিন নাসিম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে মঞ্চের সামনে অবস্থান নেয়াকে কেন্দ্র করে উপস্থিত নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সমাবেশ স্থলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মঞ্চের ঠিক সামনে হাতাহাতির ঘটনায় বিব্রত হন নেতারাও। পরে শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।