স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ২১তম মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ-২০১৬)। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো তাদের সর্বশেষ পণ্য মেলায় দেশী-বিদেশী ক্রেতাদের প্রদর্শন করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবার মহানগরীর শেরে বাংলা নগরস্থ মেলা প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা দর্শণার্থীদের সকল প্রকার সুবিধা সম্বলিত ডিআইএফটি-২০১৬ এর আয়োজন করতে যাচ্ছি।’
তোফায়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে তিনটায় ড্আিইটিএফ-২০১৬ এর উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে দেশের এই সর্ববৃহৎ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বোস, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআিই) সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমেদ ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেলায় প্রতিদিন প্রায় এক লাখ দর্শণার্থীর আগমণ ঘটবে বলে আমরা আশা করছি।’
মেলায় প্রধানত বৈশিষ্ট তুলে ধরে তিনি বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে সুন্দরবন ইকো পার্ক, ডিআইটিএফ-ই-শপ, ছোট আকারের মেডিকেল সেন্টার রক্তদান কেন্দ্র ও মসজিদ স্থাপন করা হবে দর্শণার্থীদের বিনোদন ও জরুরি প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
তিনি আরো বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের সামনে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এ বছর মেলায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলায় মানসম্মত খাদ্য ও পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে একটি পৃথক ন্যাশনাল কনজুমারার্স রাইটস প্রটেকশন ডাইরেক্টরেট (এনসিআরপিডি) বুথও স্থাপন করা হবে।
এই বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুর্কি, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ২১টি দেশ অংশ নেবে।
এ বছর নতুন সাতটি দেশ মরিসাস, ঘানা, নেপাল, হংকং, জাপান, মরক্কো ও ভূটান মেলায় অংশ নিচ্ছে।
পূর্ণবয়স্কদের প্রবেশ ফি ৩০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার মেলায় থাকছে ১১১টি প্যাভিলন, ৫৭টি মিনি প্যাভিলন, ৮০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলন ও ২৭৬টি স্টল।
মেলায় যন্ত্রপাতি, কার্পেট, প্রসাধনী ও সৌন্দর্য সামগ্রী, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্টনিক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা, ক্রীড়া সামগ্রী, স্যানিটারী ওয়াব, খেলনা, স্টেশনারী, ঘড়ি, গহনা, সিরামিক সামগ্রী, স্থানীয় পোশাক সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফার্স্ট ফুড, আসবাসপত্র ও হস্তশিল্প ইত্যাদি সামগ্রী স্থান পাবে।