শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আন্তঃসীমান্ত ষড়যন্ত্রে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি

আন্তঃসীমান্ত ষড়যন্ত্রে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বেশ কয়েক মাস ধরে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গে তিনটি জেলার সাতটি মাদ্রাসায় নিঃশব্দে প্রবেশ করেছে। বর্ধমানে বিস্ফোরণের নীলনকশাটি তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে এ মাদ্রাসাগুলোতেই।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে এ খবর জানা গেছে।ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক নষ্ট করা এবং ঢাকার রাজনৈতিক সুস্থিতি নাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বৃহত্তরভাবে এই আন্তঃসীমান্ত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেই জানা গেছে। কয়েক মাস ধরেই বড় অঙ্কের টাকা তোলার এবং লোক নিয়োগের রাস্তায় চলছে জেএমবি। নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদার মাদ্রাসাগুলোকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টাও চলছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অন্তত ১৫০ যুবককে বাছাই করা হয়েছে যারা বাংলাদেশে নাশকতা করতে পারবে। বর্ধমানের বিস্ফোরণের আগে ৭০টি ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ঢাকা এবং আসামে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের জেরার মুখে এক ধৃত (রুমি বিবি) জানিয়েছেন, ‘আসামে সন্ত্রাস ঘটানোর জন্য এ বোমা বানানো হয়েছে কি না আমাদের জানা নেই।’ তবে এটা ঠিক যে বাংলাদেশ আক্রমণের লক্ষ্য। বোমা বানানোর কারখানাটি সক্রিয় হয়ে ওঠে ৩ মাস আগে থেকেই। কলকাতার বড়বাজার থেকে বোমার উপাদানগুলো কিনে আনা হয়। বাংলাদেশের ‘সেল’টি জেএমবির কসৌর আলী (বাংলাদেশের নাগরিক) নামে এক ব্যক্তির কাছে রিপোর্ট করেছিল। তদন্ত রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, জেএমবির জঙ্গিরা বাংলাদেশের সিলেট জেলার। তারা আসামের এক ডাক্তারকে কুরিয়ারের মাধ্যমে টাকা পাঠাত। সেই ডাক্তার কসৌরকে খবর পাঠানোর পর সে তিনজন বাছাই করা ব্যক্তিকে আসাম পাঠাত। গাড়িতে করে টাকা নিয়ে আসা হতো। নানা পথ ঘুরে সেই টাকা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পৌঁছাত বলে জানা গেছে। অনেক সময় ১০ লাখ টাকা পর্যন্তও আসত।
এর আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর এবং ‘র’-এর পক্ষ থেকে তিনজন জেএমবি কর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের নাম মহম্মদ বিল্লাল ও সোহেল মেহফুজ। এ দুই নেতা পশ্চিমবঙ্গের সাতটি মাদ্রাসায় নিয়মিত যেত। মহম্মদ হাবিবুর রহমান বলে আরেক জেএমবি নেতা পরে যোগ দেয় এদের সঙ্গে। বর্ধমানের ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু কাগজ ও নথি উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলোর থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, জেএমবির সঙ্গে বিশ্বের বহু সন্ত্রাসবাদী সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে। আল-কায়েদা এবং চেচেন নেতাদের ভিডিও ও বক্তৃতার কপি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পাওয়া গেছে ৫৫টি সিম কার্ড। দেখা গেছে, এ সিমকার্ডগুলো থেকে বিশ্বের বহু জায়গায় কথাবার্তা বলা হয়েছে। এর ভিত্তিতে গোয়েন্দারা তদন্ত চালাচ্ছেন।