স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিনটি ২১শে ফেব্রুয়ারি। বছরের আর দশটা দিনের চেয়ে এ দিনটি একেবারেই আলাদা। কারণ, এ দিনটি সারা পৃথিবীকে এমন এক জাতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় কেবলমাত্র যারা মায়ের ভাষা রক্ষার দাবিতে রক্ত ঝড়িয়েছে, জীবন দিয়েছে।
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সেই ভাষা শহীদদের আজ স্মরণ করছে গোটা জাতি। কোথাও আজ কোনো বিভেদ নেই। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার হাতে উঠেছে ফুল। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নেমেছে পথে। পথ গিয়ে মিশেছে শহীদ মিনারে।
শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়েছে একুশের প্রথম প্রহর থেকেই। তবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা শহরের মানুষ যেন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ফুল হাতে। বেলা যতই বাড়ছে এ সংখ্যাও বাড়ছে ততই। ছোট-বড়, ছেলে-মেয়ে, শিক্ষক-চিকিৎসক-ব্যবসায়ী বাদ যাচ্ছেন না কেউই। কেউ আসছেন নিজের আত্মীয়ের সঙ্গে তো কেউ আসছেন বন্ধুর হাত ধরে। কণ্ঠে সবার একই গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি।’
বাবার হাত ধরে ফুল দিতে এসেছিল ছোট্ট সামান্তা আর শাম্মীও। সামান্তা পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। শাম্মী ওর চেয়ে বছর দুয়েকের বড়। পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। ওদের বাবা শাহীন আহমেদ বললেন, ‘ছোট থেকেই প্রতি বছর ওদের শহীদ মিনারে আনা হয়। আমি না হলে ওদের মা নিয়ে আসেন। আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ওদের জানানো হয়। শোনানো হয় ভাষার জন্য প্রাণ দেয়া শহীদদের কথা।’
সামান্তা-শাম্মীর মতো আরো অনেক শিশু ফুল দিয়েছে, দিচ্ছে শহীদ মিনারে। সকাল থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দলে দলে তারা এসেছে। সঙ্গে ছিলেন ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। একইভাবে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠনও।